ঢাকা: ফেসবুকের দৈনন্দিন কার্যক্রমে যে জ্বালানির প্রয়োজন হয় তার শতভাগ যোগান দেওয়া হয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে। এর জন্য স্পিনিং উইন্ডমিল এবং সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়াও ২০২০ সাল নাগাদ ফেসবুকের কোনো কার্যক্রম থেকে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি ২০২০ সালের ওপর স্থায়ীত্ব বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয় ফেসবুকের পক্ষ থেকে। এতে বলা হয়, পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ২০২০ সালে এসে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসেছে ফেসবুক। একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে থাকা ৮০টিরও বেশি কার্যালয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। পাশাপাশি ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রেই ৫.৮ মিলিয়ন ঘনমিটার পানি জমা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফেসবুকের চিফ টেকনোলজি অফিসার মাইক স্ক্রোফার বলেন, আমরা যেসব প্রতিবন্ধকতার মোকাবিলা করছি তার মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন অন্যতম। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফেসবুক প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে আসছে এবং একই সাথে শতশত মানুষদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক তথ্য জানিয়ে আসছি আমরা। আর আমরা বিশ্বাস করি যে, এটা অব্যাহত থাকলে বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় আনা সম্ভব হবে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য শহরগুলোতে থাকা ফেসবুক কার্যালয়ে গ্রিনহাউজ গ্যাস এবং কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কাছাকাছি রাখতে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। এরজন্য শুধু নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি। একই সাথে অফিসে এমন কোনো বস্তু ব্যবহার করা হয় না যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
যুক্ত্ররাষ্ট্রের ১৫টি অঙ্গরাজ্য এবং ইউরোপ ও এশিয়া স্পিনিং উইন্ডমিল ও সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে ২.৮ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে ফেসবুক। আগামী কয়েক বছরের এটি ৫.৯ গিগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি রয়েছে ফেসবুকের।
এছাড়াও পূর্ব আফ্রিকা এবং মিসিসিপি নদীর উপত্যকায় চলমান বেশকিছু প্রকল্পে মোটা অংকের বিনিয়োগের কথা জানায় ফেসবুক। এসব প্রকল্প থেকে ২০২০ সালে এক লক্ষ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন কার্বন পরিবেশ থেকে নষ্ট করে ফেলা হয়।
সেই সাথে ২০৩০ সাল নাগাদ ফেসবুকের অন্যান্য অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও কার্বন ও গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ শূন্য করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও ঘোষণা দেয় ফেসবুক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২১
এসএইচএস/এমজেএফ