ঢাকা: ভারতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৯তম বিজনেস লিডার অফ দি ইয়ার’র আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘ইনোভেশন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘গ্রিন টেলিকম অ্যাওয়াডর’ অর্জন করলো রবি আজিয়াটা লিমিটেড।
করোনা মহামারী মোকাবেলায় ডাটা অ্যানালিটিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ক্ষেত্রে অসামান্য উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে ইনোভেশন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডটি অর্জন করেছে রবি।
বুধবার (০৭ জুলাই) রবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
মহামারীর শুরুতেই টেলিকম শিল্পে প্রথম করোনা ভাইরাসের বিস্তার শনাক্তে সরকারকে সাহায্য করার জন্য একটি এআই চালিত ক্রাউড-সোর্সিং-ভিত্তিক ডাটা অ্যানালিটিক্স সল্যুশন তৈরি করে রবি। কোভিড ম্যাপ তৈরির জন্য করোনা ভাইরাসের বিস্তার নিয়ে সরকারের প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং জনসাধারণ থেকে প্রাপ্ত অন্যান্য ডাটা একীভূত করেছে অপারেটরটি। এ তথ্য রবির গ্রাহকদের জন্য মাই রবি অ্যাপে যুক্ত করা হয়েছিল।
একমাত্র অপারেটর হিসেবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের গ্রাহকদের রিয়েল-টাইম -ভিত্তিক কোভিড সতর্কতা বার্তা দিয়েছে রবি। এছাড়া পৃথক কেস-টু-কেস ভিত্তিতে ডাটা অ্যানালিটিক্স, মেশিন লার্নিং এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ রিচার্জ পয়েন্টের তথ্য দিয়ে সহয়তা করেছে অপারেটরটি।
একই ডিজিটাল সল্যুশন ব্যাবহার করে কঠোর ‘লকডাউনে’ থাকা অবস্থায়ও খুচরা বিক্রেতাদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ রিচার্জ নিশ্চিত করা হয়েছিল। এছাড়া অত্যাধুনিক অ্যানালিটিক্স সল্যুশন ব্যবহার করে অধিক মাত্রায় ডাটা ব্যবহারকারী গ্রাহকদের জন্য আলাদা আলাদা অফার দিয়েছে রবি।
নেট মিটারিং নীতি ২০১৮-এর অধীনে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত নেট মিটারিং স্কিমের আওতায় বিটিএস সাইটে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে রবির পরিক্ষামূলক পদক্ষেপকে তুলে ধরেছে গ্রিন টেলিকম অ্যাওয়ার্ডটি। এ পদক্ষেপের ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যয় সাশ্রয়ী হতে পেরেছে রবি।
মালয়েশিয়ায় রবি'র মূল কোম্পানি আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শূন্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্য পূরণে প্রতি বছর ১৩ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে ৪শ’রও বেশি সাইটে ৮ দশমিক ১ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে রবি। প্রকল্পটি শেষে রবি বছরে প্রায় ৫ হাজার ৩৬১ টন কার্বন নিঃসরণ কমাতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে যা ৬৪ হাজার ৩৩২টি গাছের সমমান।
বিজনেস লিডার অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের ১৯তম সংস্করণের আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৬৪০টি’রও বেশি আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রোগ্রামটির টেলিকাস্ট পার্টনার ছিল ইটি নাও চ্যানেল ও এবিপি নেটওয়ার্ক অফ ইন্ডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার ছিল বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
বিশ্বব্যাপী ও স্থানীয় ব্যবসায় সফল এবং ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে এমন সংস্থা ও ব্যক্তিদের এই পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ল্ড লিডারশিপ কংগ্রেস অ্যান্ড আওয়ার্ডস ‘বিজনেস লিডার অফ দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ডটি দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২১
এমআইএইচ/কেএআর