ঢাকা: জাতীয় ও অর্থনৈতিক স্বার্থে প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাংপ্রধান লি জে ইয়ং কে মুক্তি দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হাই’কে ঘুষ দেওয়া এবং অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আড়াই বছরের সাজা নিয়ে গেল জানুয়ারি থেকে বন্দি ছিলেন লি।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে লি’র মুক্তির খবর জানা যায়। প্যারোলে মুক্তি’র পর জেলের বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন লি জে ইয়ং।
লি জে ইয়ং বলেন, জনগণের জন্য আমি অনেক উদ্বগের জন্ম দিয়েছি। এরজন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আমি সেসব উদ্বেগের বিষয়ে অবগত আছি। আমার প্রতি সবার সমালোচনা এবং প্রত্যাশাও জানি। আমি কঠোর পরিশ্রম করবো।
লি জে ইয়ং স্যামসাং এর প্রতিষ্ঠাতা লি ইয়ং চুপের নাতি। আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও ২০১৪ সাল থেকে স্যামসাংয়ের প্রধান হিসেবে রয়েছেন তিনি।
লি এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, দক্ষিণ কোরিয়ার দু’টি অলাভজন প্রতিষ্ঠানকে ৩৭ দশমিক সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছিলেন তিনি। এই দু’টি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক ছিল দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হাই এর ঘনিষ্ঠ মিত্র চৌ সুন সিল। এ অনুদানের বিনিময়ে, স্যামসাং এর বিতর্কিত ‘মার্জিং ডিল’ (দুই বা একাধিক ব্যবসার একীভূত হওয়া) পেয়েছিল সরকারি সমর্থন। ফলে খুব সহজেই স্যামসাং এর প্রধান হতে পেরেছিলেন লি।
লি’কে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার আদেশে দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি এবং বৈশ্বিক বাজারে করোনা মহামারির প্রভাব দেখে লি’কে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন এর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, তাকে জাতীয় স্বার্থে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং সবাইকে বিষয়টি বোঝার অনুরোধ করছি। তাকে মুক্তি দেওয়ার পক্ষে এবং বিপক্ষে উভয় দিকেই জন সমর্থন রয়েছে। যারা এর বিরোধিতা করছেন তারাও সঠিক। কিন্তু এমনও অনেকে আছেন যারা সরকারের কাছে তার প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন করেছেন এবং বিশ্বাস রাখছেন যে, এ মহামারিতে তিনি সেমি-কন্ডাক্টর এবং টিকা নিয়ে দেশের জন্য অবদান রাখবেন।
আড়াই বছরের সাজার মধ্যে ২০৭ দিন জেল খেটেছেন লি।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২১
এসএইচএস/ওএইচ/