তখনও প্রযুক্তি দুনিয়ায় রাজত্ব করতে শুরু করেনি অ্যাপল। স্টিভ জবস এবং স্টিভ ওজনিয়াক নিজের হাতেই অ্যাপল তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তার মধ্যেই একটি উঠতে চলেছে নিলামে। অরিজিনাল অ্যাপল কম্পিউটার, যা সেই সময়ে পরিচিত ছিল 'চ্যাফি কলেজ' অ্যাপল-১ নামে। সেটিই এবার নিলামে যাবে। কম্পিউটারটি স্টিভ জবসের বোন প্যাটি জবস এবং ড্যানিয়েল কোট জবসের বাড়িতে পরীক্ষা করেছিলেন।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় আয়োজিত হবে নিলামের অনুষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে বিজনেস টুডে।
নিলামে অ্যাপলের সেই কম্পিউটারের দাম উঠতে পারে ছ’লক্ষ আমেরিকান ডলার। স্টিভের তৈরি বাকি কম্পিটারের থেকে এটি একটু বিশেষ। কোয়া কাঠের ফ্রেমের মধ্যে রয়েছে ৪৫ বছরের পুরনো এ কম্পিউটার। এই কোয়া কাঠ খুবই মূল্যবান।
কেবলমাত্র হাওয়াই দ্বীপে পাওয়া যায় এই কাঠ। এই ডিভাইসটি জবস এবং ওজনিয়াক দ্বারা যৌথভাবে তৈরি করা ২০০ টি কম্পিউটারের মধ্যে এমন একটি যা কোম্পানির শুরু দিকে গ্যারেজের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল, পরে সেখান থেকেই ডালপালা বিস্তার করে আজ অ্যাপল পৌঁছে গেছে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
স্টিভ এবং ওজনিয়াক এ কম্পিউটারগুলিকে কম্পোনেন্ট পার্টস হিসাবে বিক্রি করেছিলেন। ২০০টির মধ্যে ১৭৫ টি বিক্রি হয়েছিল ৬৬৬.৬৬ মার্কিন ডলারে। এর মধ্যে ৫০ টি কিনে নিয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউতে বাইটশপের মালিক পল টেরেল।
যখন টেরেল প্রতিটি অ্যাপল-১ কিট সম্বলিত এক একটি বাক্স পেয়েছিলেন, তখন মোটেই খুশি ছিলেন না। টেরেল কম্পিউটারের এতো টুকরো টুকরো পার্ট দেখে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন কি করে এগুলি বিক্রি করবেন তার শপে। জবস তার আশঙ্কা দূর করে বলেন, বাইটশপ তাদের স্টোরের মধ্যে কি বোর্ড, মনিটর এবং পাওয়ার সাপ্লাই বিক্রি করে ভালো লাভ করতে পারে।
কাঠের বাক্সের মধ্যে থাকা অ্যাপলের শুরুর দিনের সেই কম্পিউটারের নিলাম নিয়ে ইতিমধ্যেই আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এর আগেও অ্যাপল কর্তা স্টিভ জবসের বায়োডেটা নিলামে উঠেছিল। প্রযুক্তি বিষয়ক কাজে বিশেষ আগ্রহী জবস বায়োডেটাতে উল্লেখ করতে ভোলেননি। বানান বিভ্রাট থেকে শুরু করে পূর্ণচ্ছেদের আধিক্য, কিছুই বাদ যায়নি বায়োডেটা থেকে। যাই হোক, নিলাম ৫০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্য ধার্য হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২১
জেডএ