ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সাইবার নিরাপত্তায় বিটিআরসি-এনটিএমসি চুক্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
সাইবার নিরাপত্তায় বিটিআরসি-এনটিএমসি চুক্তি

ঢাকা: টেলিযোগাযোগ সেবার নিরাপদ ব্যবহার ও দেশের প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) একটি সমঝোতা চুক্তি সই করেছে।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিটিআরসির প্রধান সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে এ চুক্তি সই হয়।

বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের রেডিও কমিউনিকেশন স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ডিরেক্টরেটের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানা এবং এনটিএমসির পক্ষে সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) মো. শাওগাতুল আলম চুক্তিপত্রে সই করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টেলিযোগাযোগ সেবাদানের পাশাপাশি বিটিআরসি গ্রাহক সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রতিনিয়ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা এনটিএমসির সঙ্গে কাজ করে আসছে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা গেলে ভবিষ্যত প্রযুক্তি সমন্বয়ের মাধ্যম জনগণ ও রাষ্ট্রের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং এনটিএমসির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান বক্তব্য দেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে আজ বাস্তবে নিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে আজ অনেক কিছুই বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। একই সাথে অপরাধের ধরন পাল্টে গেছে, ভবিষ্যতে সাইবার অপরাধ বাড়বে, সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত করছি। বিটিআরসি কর্তৃক এনইআইআর চালু হওয়ায় মুঠোফোন শনাক্ত করাটা সহজতর হয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, এনটিএমসির সঙ্গে বিটিআরসির সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত কার্যক্রমে সমন্বয়ের ক্ষেত্রটা আরো গতিশীল হবে। বর্তমানে অপরাধীর অবস্থান দ্রুত শনাক্ত করাটা ডিজিটাল প্রযুক্তির ফল। ভবিষ্যতে নতুন প্রযুক্তি জনগণের কল্যাণে ব্যবহার হবে।

১২ ডিসেম্বের বাংলাদেশ ফাইভজি প্রযুক্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রবেশ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই প্রযুক্তি জাতীয় জীবনে অকল্পনীয় পরিবর্তন আনবে। তবে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি সমগ্র জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল বাস্তবতা সর্ম্পকে অবহিত করতে হবে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেরুদণ্ড হচ্ছে বিটিআরসি। ফোরজি তরঙ্গ বরাদ্দ, সীমান্ত এলাকায় টাওয়ার নির্মাণ, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে এক দেশ এক রেট চালু, মোবাইল ইন্টারনেটের ন্যূনতম গতি ১৫ এমবিপিএস ও ব্রডব্যান্ডের ২০ এমবিপিএস নির্ধারণের উদ্যোগের পাশাপাশি কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিশ্চিতে কাজ করা হচ্ছে, যার সুফল জনগণ খুব শিগগিরই পাবে। তবে একটি বিশেষ মহল ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিটিআরসির কার্যক্রমকে হেয় প্রতিপন্ন করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

এনটিএমসির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাষ্ট্রের সব সংস্থা সম্মিলিতভাবে কাজ করছে, এক্ষেত্রে বিটিআরসি এনটিএমসিকে সর্বাত্মক সহায়তা করে আসছে। এনটিএমসি’র ইন্টিগ্রেটেড ইনটেলিজেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী ও তদন্ত সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে আসছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মের সকল সিস্টেম সমন্বিত হয়ে কাজ করলে তথ্যের স্বচ্ছতা বাড়বে এবং প্রযুক্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম সহজতর হবে।

স্বাগত বক্তব্যে বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী এ কে এম শহীদুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশর প্রধান চালিকা শক্তি হলো তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাত। আর তথ্য প্রযুক্তি এবং টেলিযোগাযোগ সেবা জনগণের দোঁড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে বিটিআরসি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।