ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এখন দেশজুড়ে গ্রামীণফোনের ২০০ জিপিসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২১
এখন দেশজুড়ে গ্রামীণফোনের ২০০ জিপিসি

ঢাকা: গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে সারা দেশে ২০০টি ফ্ল্যাগশিপ স্টোর-গ্রামীণফোন সেন্টারের (জিপিসি) কার্যক্রম শুরু করেছে গ্রামীণফোন।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জিপিসি চালুর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার ২০০তম জিপিসি স্থাপনের অসামান্য মাইলফলক অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই উপলক্ষে বুধবার (০১ ডিসেম্বর) ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গ্রামীণফোন।

বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ আনুষ্ঠানিকভাবে জিপিসি উদ্বোধন করেন। গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব, চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন সাদাত ও হেড অব কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড সার্ভিস মো. আওলাদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে গ্রাহক ও জিপিসি কর্মকর্তাদের সাথে গ্রামীণফোনের হেড অব কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড সার্ভিস মো. আওলাদ হোসেন কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা নাগেশ্বরী থেকে যুক্ত হন এবং জিপিসির কার্যক্রম তুলে ধরেন।

গ্রাহকদের উন্নত সেবাদানের অনুপ্রেরণা থেকে এখন দেশজুড়ে গ্রামীণফোনের প্রয়োজনীয় কাস্টমার সল্যুশন সেন্টার রয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে সর্বোচ্চ সম্পৃক্ততা এবং প্রতিশ্রুতি পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা নিশ্চিত করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০০ জিপিসির পাশাপাশি, গ্রামীণফোনের বিদ্যমান অন্যান্য ডিজিটাল সেবা চ্যানেল- ১২১ হটলাইন ও মাইজিপি অ্যাপ্লিকেশনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। জেলা সদরের বাইরে জিপিসির বিস্তৃতি ঘটেছে এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন গ্রামীণফোন সেন্টার রয়েছে।

অবস্থান অনুসারে ২০০টির মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ২৪টি, সিলেটেও ২৪টি, রাজশাহীতে ২১টি, বরিশালে ১৯টি, বগুড়ায় ১৮টি, খুলনায় ১৭টি, ময়মনসিংহে ১৭টি, কুমিল্লায় ১৬টি, চট্টগ্রামে ১২টি এবং রংপুরে ৭টি জিপিসি রয়েছে। এছাড়াও গ্রাহকরা সারা দেশের ৪ দশমিক ২ লাখ রিটেইল পয়েন্ট থেকেও সেবা নিতে পারবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিটিআরসির মহাপরিচালক নাসিম পারভেজ বলেন, সত্যিকার অর্থেই গ্রামীণফোনের জন্য আজকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন, কারণ জনগণের কাছাকাছি আসার এক বিশাল মাইলফলক প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করেছে। জনগণের সাথে কানেক্টেড হওয়ার জন্য গ্রামীণফোনের হটলাইন, মাইজিপির মতো সেবা থাকলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য গ্রামীণফোন সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা সবসময়ই থাকবে। সাধারণ মানুষ যারা এখনও পুরোপুরি ডিজিটাল সেবায় অর্ন্তভূক্ত হয়নি, জিপি সেন্টার তাদের জন্য সেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে গ্রামীণফোনকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি, গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের গ্রামীণফোনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব বলেন, এই স্টোরগুলো গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় সেবাদানে আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রতিফলন। গ্রামীণফোন সেন্টারে আমরা প্রত্যেক গ্রাহকের চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি এবং তাদের ডিজিটাল জীবনধারার মানোন্নয়নে যথোপযোগী সমাধান প্রদান করি। আমাদের দেশজুড়ে সবচেয়ে বিস্তৃত উচ্চ গতিসম্পন্ন ফোরজি কাভারেজ রয়েছে এবং গ্রাহকদের সেবা প্রদানে এই সেন্টারগুলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও রয়েছে। আমাদের সম্মানিত গ্রাহকরা এসব সেন্টার থেকে তাদের ডিজিটালের সকল প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারবেন। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের নেটওয়ার্ক ও সেন্টারের এই দেশব্যাপী বিস্তৃতি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের গতিকে ত্বরান্বিত করবে এবং আমাদের গ্রাহকদের জীবনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটাবে।

গ্রামীণফোনের হেড অব কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড সার্ভিস মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন বলেন, সামনের দিনগুলোতে আরও স্টোর চালুর মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের কাছাকাছি পৌঁছানোর আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো। গ্রামীণফোন সেন্টার বিশেষ গ্রাহকসেবা স্টোর, যেখান থেকে গ্রাহকরা মানসম্পন্ন সেবা এবং পণ্য সম্পর্কিত যথার্থ তথ্য পেতে পারেন।

সমাপনী বক্তব্যে গ্রামীণফোনের অ্যাক্টিং সিসিএও হোসেন সাদাত গ্রাহক সেবা দেশব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার দিকনির্দেশনার জন্য বিটিআরসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোন এ ধরনের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করবে।

গ্রামীণফোন ডিজিটাল এবং রিটেইল চ্যানেলে নানাবিধ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ‘২০০ জিপিসি মাইলস্টোন সেলিব্রেশন’ উদযাপন করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২১
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।