ঢাকা: সাবেক মার্কিন কূটনীতিক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের সমালোচনা করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ওই ব্যাটা এখন দেখে যা, বাংলাদেশ তোদের দেশের থেকে ভালো অবস্থানে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, আমরা এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নই, এটা হেনরি কিসিঞ্জারের দুই গালে থাপ্পড় দিয়ে বলা যাবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী 'স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা-২০২২' উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমার শরীরের প্রতি ফোঁটা রক্তে কম্পিউটার-মোবাইল ফোন-ট্যাব এসব পাওয়া যাবে। আর কিছু পাওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, তার প্রচেষ্টা হচ্ছে, অন্ততপক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাইতে বাংলাদেশের দারিদ্র্য হার শতকরা এক ভাগ কমিয়ে আনা। আজকের দিনে বাংলাদেশকে বিশ্বের বহু উন্নত দেশের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
করোনাকাল মোকাবিলার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বর্তমান একটা ইস্যু করোনা। প্রত্যেকের জন্য প্রতি মুহূর্তের ইস্যু করোনা। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে ১৮ কোটি মানুষের বসবাস। করোনাকালের মধ্যেই আমরা মেলার আয়োজন করছি। বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ৫ থেকে ৬ জন। প্রতিদিন সংক্রমিত হচ্ছে ২০০ থেকে ৮০০ জনের মতো মানুষ। এমন সংক্রামিত হার ইউরোপ-আমেরিকায় কল্পনা করতে পারে না। সেই জায়গাতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন, কিছু দিন বন্ধ থাকার পর আবার এই মেলা চালু হয়েছে এটি আনন্দের বিষয়। আমরা এখন বিপুল আকারে ফাইভ-জি হ্যান্ডসেট উৎপাদন করতে পারব। বিদেশেও রপ্তানি করতে পারব। এবার মেলায় প্রথমবারের মতো সাধারণ জনগণ ফাইভ-জি ব্যাবহারের সুযোগ পাচ্ছে। এইজন্য মেলার আয়োজক ও টেলিটক এবং ফাইভ-জি ব্যবহারের যারা সুযোগ করে দিতে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়েছে, সেই হুয়াওয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেকার কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ খান জানান, সবসময়ের মতো এবারও দেশের স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারকারীরা সর্বশেষ মডেলের স্মার্টফোন ও ট্যাব পরখ করে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন এই মেলায়। থাকছে ছাড় ও উপহার। মেলায় স্যামসাং, অপো, রিয়েলমি, শাওমি, টেকনো, ভিভো, ওয়ালটন, ওয়ান প্লাসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া স্মার্টফোনের জন্য আনুষঙ্গিক গ্যাজেট ও এক্সেসরিজ নিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন।
এছাড়া মেলায় দেশে প্রথমবারের মতো সবার জন্য ৫জি এক্সপিরিয়েন্স জোন করা হয়েছে। মোবাইল অপারেটর টেলিটকের পরিচালনায় ও হুয়াওয়ে টেকনলজিস বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় এই জোনে এসে দর্শকরা সরাসরি ৫জি অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন। মেলায় মোট ১৭টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে।
এবারের মেলার পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে মোবাইল ব্র্যান্ড স্যামসাং, অপো, ভিভো, রিয়েলমি, টেকনো ও ডিএক্স। মেলার টেকনলজি পার্টনার হুয়াওয়ে। লজিস্টিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে 'ই কুরিয়ার।
মেলায় দর্শকরা ঢুকতে পারবেন বিনামূল্যে। তবে মাস্ক না পরা অবস্থায় কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রবেশদ্বারে তাপমাত্রা মেপে তা গ্রহণযোগ্য হলেই প্রবেশ করা যাবে মেলায়। প্রদর্শনীর সব আপডেট ও খবর মেলার অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে পাওয়া যাবে। তিন দিনব্যাপী এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মেলায় উপস্থিত ছিলেন টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন, ট্রানশন বাংলাদেশের সিইও রেজওয়ানুল হক, হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের চিফ অপারেটিং অফিসার তাওগোয়ানজিও, অপো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং, ভিভো বাংলাদেশের সেলস ডিরেক্টর শ্যারন ওয়েন, রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিম শাও, স্যামসাং ইন্ডিয়া ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার হোয়ানসাং উ, ডিএক্স গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও দেওয়ান কানন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২২
এমএমআই