ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

হুয়াওয়ে এশিয়া-প্যাসিফিক কংগ্রেসে ডিজিটাল ইকোনমির ওপর গুরুত্বারোপ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
হুয়াওয়ে এশিয়া-প্যাসিফিক কংগ্রেসে ডিজিটাল ইকোনমির ওপর গুরুত্বারোপ

ঢাকা: হুয়াওয়ে ও আসিয়ান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে হুয়াওয়ে এশিয়া-প্যাসিফিক ডিজিটাল ইনোভেশন কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। কংগ্রেসটিতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ১০টিরও বেশি দেশের এক হাজার পাঁচশ’রও বেশি সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ, গবেষক, পার্টনার ও বিশ্লেষকরা এ কংগ্রেসে অংশ নেন।

চলমান তথ্য প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি, এই ইন্ডাস্ট্রিতে ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করা, সবুজ ও কম কার্বণ নিঃসরণসহ বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন অংশগ্রহণকারীরা।

কংগ্রেস চলাকালীন বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় দিন পৃথক দুটি মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু, আসিয়ান ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. ইয়াং মি ইং এবং হুয়াওয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট সায়মন লিন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কৌশল প্রস্তাবিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের যোগাযোগ খাত দ্রুত বিকাশ করেছে। গত ২০২১ সালের শেষের দিকে দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক কভারেজ ৯৮ দশমিক পাঁচ শতাংশে পৌঁছেছে এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ১৮ কোটিতে পরিণত হয়েছে, যা ২০১৮ সালে মাত্র চার কোটি ছিল। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু এর কোনোটিই সব ইন্ডাস্ট্রি ও ইকোসিস্টেম সহযোগীদের সহায়তা ছাড়া সম্ভব হতো না।

হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং তারা বর্তমানে ডিজিটাল ইনোভেশনের ক্ষেত্রেও সমানভাবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

আসিয়ান ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. ইয়াং মি ইং বলেন, হুয়াওয়ে এশিয়া-প্যাসিফিক ডিজিটাল ইনোভেশন কংগ্রেস ২০২২ আসিয়ান ফাউন্ডেশন ও হুয়াওয়ের একত্রে কাজ করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে, যা একইসঙ্গে একটি প্রতিভা বিকাশ-কেন্দ্রিক শিক্ষার ইকোসিস্টেম তৈরিতে সাহায্য করবে।

হুয়াওয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট সায়মন লিন বলেন, হুয়াওয়ে এশিয়া-প্যাসিফিকের ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে এবং একটি উন্নত ‘গ্রিন ডিজিটাল লাইফ’ গড়তে এর গ্রাহকদের এবং সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে হুয়াওয়ে প্রায় ১০ হাজার এন্টারপ্রাইজ ও ক্লাউড পার্টনারদের সঙ্গে কাজ করছে এবং স্পার্ক স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে। হুয়াওয়ে এর সহযোগীদের সঙ্গে একসাথে এক লাখ ৭০ হাজার স্থানীয় মানুষকে ডিজিটাল দক্ষতা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং পাঁচ বছরের মধ্যে আরও পাঁচ লাখ মানুষকে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

অনুষ্ঠান চলাকালীন একটি প্যানেল আলোচনা ও চারটি ইন্ডাস্ট্রি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়, হুয়াওয়ে সিম্প্লিফায়েড ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কস ও এফটিটিও/এফটিটিএম সিনারিওসহ একাধিক ক্যাম্পাস সিনারিও’র সল্যুশন প্রকাশ করেছে এবং গসডিবি (একটি নতুন ক্লাউড স্টোরেজ ডেটাবেস) ও ডেভক্লাউড (আরো দক্ষ সফটওয়্যারের বিকাশে একটি ওয়ান-স্টপ ডেভওপস শপ) -এর মতো নতুন পণ্য ও সল্যুশন উন্মোচন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
এমআইএইচ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।