১৯৯৫ সালের ১৬ জুন যাত্রা শুরু হয় জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের। ২০২২ সালের ১৬ জুন (বৃহস্পতিবার) ২৭ বছর পূর্ণ হলো সার্চ ইঞ্জিনটির।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর, ২৭ বছরের পথচলার পর বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট তাদের জনপ্রিয় ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বন্ধ করে দিচ্ছে।
ব্রাউজারটির অবসরে যাওয়ার ঘোষণা বছর খানেক আগেই দিয়েছিল মাইক্রোসফট। ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ১৫ জুনের পর উইন্ডোজ টেনের কিছু সংস্করণে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার পাওয়া যাবে না। বুধবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ সময় রাতে একটি আপডেট দেয় মাইক্রোসফট। এরপর থেকে আর পাওয়া যাচ্ছে না ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার।
যদিও বিকল্প হিসেবে মাইক্রোসফট এজ ব্যবহার করতে বলেছে মাইক্রোসফট। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যাদের কম্পিউটারে এখনও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার পাওয়া যাচ্ছে, তারা বাটনে ক্লিক করলে সোজা মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজারে চলে যাবেন। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের চেয়ে মাইক্রোসফট এজ আরও দ্রুতগতির। এটি নিরাপদ ও অত্যাধুনিক।
মাইক্রোসফট এজ এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক শন লিন্ডার্সি গত বছর (মে, ২০২১) এক ব্লগ পোস্টে এসব তথ্য দিয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের নানা সমস্যা সমাধান করবে মাইক্রোসফট এজ। আগের ব্রাউজারের পুরনো ঐতিহ্য ও অ্যাপ্লিকেশনগুলোও সমন্বয় করতেও সক্ষম এটি।
হালের গুগল ক্রোম, সাফারি, মজিলা ফায়ারফক্স বা অপেরা ব্রাউজারের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি জনপ্রিয় ছিল ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। মাইক্রোসফট ব্রাউজারটি নিয়ে আসার আগে অন্যকোনো মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্রাউজ করাটা ছিল কষ্টসাধ্য। মূলত ইন্টারনেট আবিষ্কারের পর থেকে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারই ছিল অন্যতম ব্রাউজিং মাধ্যম। অবসরে পাঠানো মধ্য দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যম হিসেবে স্মৃতি হয়ে থাকবে ব্রাউজারটি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, ১৬ জুন, ২০২২
এমজে