ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শুরু হলো সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথনের নিবন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
শুরু হলো সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথনের নিবন্ধন

ঢাকা: দ্বিতীয় বারের মতো তথ্য ও প্রযুক্তিবিদদের সংগঠন সিটিও ফোরামের আয়োজনে ঢাকাসহ মোট চারটি বিভাগে বসছে ‘সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন ২০২২’।

ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব, সুস্বাস্থ্য, গুণগত শিক্ষা, ই-কমার্স, এমার্জিং টেকনোলজি, ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স, অনলাইন সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশনসহ এমন আরও মুক্ত চ্যালেঞ্জ নিয়ে শুরু হচ্ছে এবারের জাতীয় পর্যায়ের হাইব্রিড ইনোভেশন হ্যাকাথন।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবারের প্রতিযোগিতা হবে মোট চারটি রাউন্ডে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় বাস্তবধর্মী সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে প্রতিযোগিরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহীর ভেন্যু থেকে অংশ নিতে পারবেন।

মেন্টর ও বিচারকরা যুক্ত হবেন অনলাইনে। ১৩ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ধারণা উপস্থাপনের পর ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর জমা দিতে হবে উদ্ভাবনার প্রোটোটাইপ। জুরিবোর্ডে থাকবেন দেশি ও বিদেশি প্রথিতযশা একাডেমিশিয়ান ও ইন্ড্রাস্ট্রি এক্সপার্টরা।

এবারের হ্যাকাথনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী স্মার্ট জীবনযাপনের টেকসই সমাধান। শনিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ানবাজার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজকরা।

হ্যাকাথনের উদ্বোধনী ঘোষণা দিয়ে সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, বাংলাদেশ গোল্ডেন ডিভিডেন্ট যুগে রয়েছে। তরুণদের যদি সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের এই সব ইনোভেটিভ আইডিয়াকে সঠিক নার্সিং করা যায়, তবেই হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। তিনি তরুণদের নতুন-নতুন আইডিয়া নিয়ে হ্যাকাথনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

ইনোভেশন হ্যাকাথন ২০২২ এর বিস্তারিত তুলে ধরে কনভেনর প্রফেসর ড. সৈয়দ আখতার হোসেন জানান, এবারের হ্যাকাথনের আয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি এবং অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)। আগামী ৮ অক্টোবর ফিজিক্যাল ডেমোন্সট্রেশন এবং ২২ অক্টোবর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত করা হবে সেরা উদ্ভাবন।

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইসিটি ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ডিজিটাল হাবে পরিণত করতে এই ইনোভেশন হ্যাকাথন একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এ সময় হাইটেক পার্ক থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মাহমুদ হুমায়ুন কবীর বলেন, এ হ্যাকাথনের মাধ্যমে সরকারি ও প্রাইভেট প্রজেক্টের একটা মেলবন্ধন ঘটেছে। এই হ্যাকাথনে আমরা এক সঙ্গে কাজ করব।

নিবন্ধনের প্রক্রিয়া ও পুরস্কার: 

এবারের আয়োজনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ১৩ আগস্ট থেকে। যা আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। উচ্চ মাধ্যমিক থেকে শুরু করে পরবর্তী পর্যায়ের যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক সিটিও ফোরামের ওয়েবসাইট (portal.ctoforumbd.org/innovation-hackathon-2022) থেকে নিবন্ধন করতে পারবেন।

অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের জন্য থাকছে লক্ষাধিক টাকার আর্থিক পুরস্কার ও একই সঙ্গে দেশের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হ্যাকাথনের অরগানাইজিং কমিটির চেয়ার প্রফেসর ড. তৌহিদ ভূঁইয়া, জুরি ও মেন্টর কমিটির চেয়ার প্রফেসর দ্বীপ নন্দি, সিটিও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আরফে এলাহী মানিক।

এবারের আয়োজনের টাইটেল স্পন্সর দেশীয় বৃহৎ টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি ফেয়ার টেকনোলজি, বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড হুন্দাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
এমকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।