ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্টের বিষয়ে ফেসবুক সতর্ক: সাবনাজ রশীদ দিয়া

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্টের বিষয়ে ফেসবুক সতর্ক: সাবনাজ রশীদ দিয়া

ঢাকা: ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্টের বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা সাবনাজ রশীদ দিয়া।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে সচিবালয়ে তার দপ্তরে বৈঠককালে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ড্রয়িং রুমের আলোচনার মতোই ফেসবুক মানুষের অনুভূতি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পাশাপাশি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন ও গুজব ছড়ানোসহ এটির অপব্যবহার ভয়ংকর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সমাজ কিংবা রাষ্ট্রই নয়, এটি ফেসবুকের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফেসবুককে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ ফেসবুকের একটি বড় বাজার উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী ইন্টারনেটসহ শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় ফেসবুকের বাংলাদেশে এখাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে।  

মন্ত্রী ২০১৮ সালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে বার্সিলোনায় প্রথম বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ৫ বছরে পারস্পরিক সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা এখন দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারছি।  

মোস্তাফা জব্বার ফেসবুককে বাংলাদেশের আইন ও বিধিবিধান মেনে চলা ছাড়াও দেশ ও দেশের বাইরে থেকে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সম্মান বিঘ্নিতকর মিথ্যা ও গুজব বা অপপ্রচারমূলক উপাত্ত প্রচার ছাড়াও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, পর্নোগ্রাফি ও বাংলাদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধবিরোধী উপাত্ত প্রচার না করতে সরকারের মনোভাব ব্যক্ত করেন।  

মন্ত্রী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর ১৬৫টি ভাষায় ফেসবুক তার কর্মকাণ্ড পরিচালনাকে পৃথিবীর সব ভাষার প্রতি ফেসবুকের বিরল সম্মান প্রদর্শন বলে উল্লেখ করেন।

সাবনাজ রশীদ দিয়া বলেন, অন্যান্য দেশের পলিসি, আইন আর বাংলাদেশের অনেকটাই ভিন্ন, আমরা ক্ষতিকর কনটেন্টের বিষয়ে সতর্ক আছি। যে কোনো বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে অবশ্যই মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিবেচনায় রাখা উচিত। আমাদের পলিসিতে ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্টের বিষয়ে সচেতন থাকার বিষয়ে সরকার থেকেও বারবার বলা হয়েছে, আমরা সেই আলোকে ব্যবস্থাও নিয়েছি।  

তিনি ফেসবুক কর্তৃক বাংলাদেশে ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।  

ইতোমধ্যে ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টির জন্য ১০ লাখ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রীকে অবহিত করেন তিনি।  

যেকোনো আইন করার সময় স্টেকহোল্ডার, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধি- সবার বক্তব্য নেওয়া উচিত। বিটিআরসি ওটিটি গাইডলাইন তৈরিতে এটি করায় ফেসবুক প্রতিনিধি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

মন্ত্রী ফেসবুক প্রতিনিধিকে তার লেখা বইয়ের একটি সেট ও মুজিব জন্মশতবর্ষের ডাকটিকিট অ্যালবাম উপহার দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
এমআইএইচ/এএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।