ভারত শাসিত কাশ্মির অংশে দুটি পৃথক হামলায় পাঁচ বেসামরিকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একই এলাকায় ঘটনা দুটি ঘটল।
রোববার সন্ধ্যায় রাজৌরি জেলার তিনটি বাড়িতে গুলি ছুড়লে চারজন নিহত হন। এই ঘটনায় নয়জন আহত হন।
সোমবার ওইসব বাড়ির পাশেই আরেক বিস্ফোরণে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এতে চারজন আহত হন।
বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেছেন।
রোববারের ওই হামলায় রাজৌরিতে বিক্ষোভ ও ধর্মঘট চলছে। লোকজন এই নিরাপত্তাহীনতার দায় চাপাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের ওপর।
ওই অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধান মনোজ সিনহা এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
টুইটে তিনি লিখেছেন, এই নিন্দাজনক হামলার পেছনে যারা আছেন, তারা শাস্তির বাইরে থাকবেন না।
কাশ্মিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা লেগেই থাকে। দুই পক্ষই এই অঞ্চল শাসনের দাবি করে।
১৯৪৭ সালে ভারতে বিভাজনের পর পাকিস্তানের সৃষ্টি থেকে কাশ্মির নিয়ে দুটি যুদ্ধে লড়েছে এই দুই দেশ।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলে ভারতের শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে, হাজারো মানুষের প্রাণ গেছে।
পাকিস্তানের ওপর কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উসকে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভারত। তবে ইসলামাবাদ বরাবরই তা অস্বীকার করছে।
২০১৯ সালের আগস্টের আগ পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মির ছিল ভারতে একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য। তখন ফেডারেল সরকার ওই অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন তুলে নিয়ে দুটি আলাদা অঞ্চলে ভাগ করে দেয়।
রোববার মারা যাওয়া চারজনই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মিরের সনাতন ধর্মাবলম্বী। গত কয়েক বছরে কাশ্মিরে বেশ কয়েকজন সনাতন ধর্মাবলম্বী জঙ্গিদের হামলায় মারা গেছেন। এ নিয়ে ওই সম্প্রদায় ভয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৩
আরএইচ