ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভেঙে পড়তে পারে বাড়ি, তবুও ভিটে ছাড়তে নারাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
ভেঙে পড়তে পারে বাড়ি, তবুও ভিটে ছাড়তে নারাজ

জোশীমঠের ২০০টিরও বেশি বাড়িতে ইতিমধ্যেই ‘রেড ক্রস’ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এসব বাড়ি বসবাসের জন্য নিরাপদ নয়।

বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সোমবার প্রশাসনের তরফে জোশীমঠের ওই পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলা হয়।  

কিন্তু জোশীমঠ ছাড়তে নারাজ সেসব পরিবারের একাংশ। এরকমই এক পরিবারের গৃহকর্তা লক্ষ্মীপ্রসাদ সতী। ৭৮ বছরের এই বৃদ্ধের বাড়িতেও রেড ক্রস দেওয়া হয়েছে। ‘মালারি ইন’ ও ‘মাউন্ট ভিউ’ নামে হেলে পড়া যে দুটি হোটেল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা একেবারে তার বাড়ির সামনে।  

প্রশাসনের পক্ষ থেকে লক্ষ্মীপ্রসাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু রাজি এই বৃদ্ধ। তার পরিষ্কার কথা, আমরা বাইরে থেকে আসিনি। এখানেই আমার জন্ম। আমার পূর্বপুরুষরা এই বাড়িতেই থেকেছে। প্রশাসন কী করছে? আমি এই বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাব না। যদি বাড়িতে থেকে মরতে হয়, তাতেও আমি রাজি 

লক্ষ্মীপ্রসাদের মতো আরও কয়েকজন এমন দাবি তুলেছেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, বাড়ি ছেড়ে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে থাকার জন্য প্রতিটি পরিবারকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ চার হাজার রুপি করে দেওয়া হবে। তবে তাতেও সেসব পরিবার রাজি হয়নি। মঙ্গলবার আবারও তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে।

সোমবার জোশীমঠে নতুন করে আরও ৬৮টি বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। এর পর জোশীমঠের বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে দেখেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্য সচিব এসএস সান্ধু। নির্দেশ দেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিটি মিনিট গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিলম্বে যেন এলাকার বাকি বাসিন্দাদেরও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর থেকেই জোশীমঠের বাসিন্দাদের আশ্রয় শিবিরে পৌঁছে দিতে আরও তৎপর হয়েছে প্রশাসন।

গত ২ জানুয়ারি থেকেই গাড়োয়াল হিমালয়ের ছোট জনপদ জোশীমঠে জায়গায় জায়গায় ধস নামে। ফাটল ধরছে একের পর এক বাড়িতে। রাস্তাতেও যেখানে সেখানে ফাটল ধরতে দেখা যাচ্ছে। মাটির তলা থেকে আসছে অদ্ভুত শব্দ। এর পরই জোশীমঠের আতঙ্কিত স্থানীয়রা তাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবিতে পথে নামেন।  

আপাতত সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ চলছে। রোববারই জোশীমঠকে ‘বসবাসের অনুপযোগী’ বলেও ঘোষণা করে দেয় উত্তরাখণ্ড সরকার। বর্তমানে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭৮। প্রশাসনের পক্ষে এখন পর্যন্ত মোট ৮২টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।