নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহের দীর্ঘ অপেক্ষায় স্বজনদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্তে দেরি করছে।
রোববার নেপালের পোখারায় ইয়েতি এয়ারলাইন্স বিধ্বস্ত হয়। এতে ৭২ আরোহীর ছিলেন। এ পর্যন্ত ৭১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইটটি কাঠমান্ডু থেকে ফ্লাইটটি পোখারায় যাচ্ছিল।
কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনের বাইরে স্বজনের মরদেহের জন্য অপেক্ষারত মদন কুমার জাইসাওয়াল বলেন, চার দিন হয়ে গেল। কিন্তু কেউ আমাদের কথা শুনছে না।
তিনি বলেন, আমি চেয়েছিলাম, ময়নাতদন্ত তাড়াতাড়ি হয়ে যাক, যাতে পরিবারের লোকজন তাদের প্রিয়জনের মরদেহ তাড়াতাড়ি পেতে পারে।
দুর্ঘটনায় নিহত আরেক ভুক্তভোগীর বাবা অশোক রায়ামাগি বলেন, তারা (কর্তৃপক্ষ) বলছে যে, তারা ডিএনএ পরীক্ষা করবে। আমার মেয়ে মারা গেছে।
বুধবার কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত নিয়ে কোনো কিছু বলেনি। তবে বলা হচ্ছে, বেশ কয়েকটি মরদেহ খুব বাজেভাবে পুড়ে গেছে।
উদ্ধারস্থলের পুলিশ কর্মকর্তা অজয় কে সি বলেন, মরদেহগুলোর অবশিষ্টাংশ থেকে ৭২ জনকে আলাদাভাবে শনাক্ত করা বেশ জটিল কাজ।
তিনি বলেন, হাসপাতালের পরীক্ষায় ৭২টি মরদেহ না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অনুসন্ধান চলবে।
অনুসন্ধান দল উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার দিনই ৬৮টি মরদেহ খুঁজে পেতে সমর্থ হয়। সোমবার অনুসন্ধান সমাপ্তির ঘোষণা দেওয়ার আগে আরও দুজনের মরদেহ পাওয়া যায়। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান কর্মকর্তারা।
পুলিশ বলছে, একজন নিখোঁজের সন্ধানে বুধবার ডুবুরি ও ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হয়।
বুধবার পোখারা জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা টেক বাহাদূর কেসি বলেন, আর কাউকে জীবিত খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই পর্যন্ত ৭১টি মরদেহ আমরা পেয়েছি। শেষ একজনের মরদেহের সন্ধান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
আরএইচ