‘বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখল’ করে বাসভবন নির্মাণের অভিযোগে ভারতের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে হুমকি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতী।
এ বিষয়ে বিশ্বভারতী একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
ভারতীয় এ নোবেল জয়ীর বাসভবনের নাম ‘প্রতীচী’। বলা হচ্ছে, তিনি বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস এলাকার জমি দখল করে সেটি নির্মাণ করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ভারতীয় বাঙালি এ অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন।
১৯৪৩ সালে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এক একরের কিছু বেশি জমি ইজারা নিয়েছিলেন অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেন। পরে সেই জমিতে নিজের বাসভবন নির্মাণ করেন অমর্ত্য। বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তাদের তৎকালীন কর্তৃপক্ষ আশুতোষ সেনকে ১ দশমিক ২৫ একর জমি ইজারা দিয়েছিল। কিন্তু অমর্ত্য সেন প্রতীচী নির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কিছু জমি হাতিয়েছেন। বর্তমানে তার বাসভবনসংলগ্ন জমির পরিমাণ ১ দশমিক ৩৮ একর। অর্থাৎ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দশমিক ১৩ একর জমি বাড়তি দখল করেছেন।
বিশ্বভারতীর বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আশুতোষ সেন তাদের কাছ থেকে যে জমি ইজারা নিয়েছিলেন, সেটির স্বাক্ষরিত নিবন্ধিত দলিল ও ২০০৬ সালে কর্ম সমিতির সিদ্ধান্ত থেকে প্রতীয়মান বিশ্ববিদ্যালয় বাবা-ছেলেকে ১ দশমিক ৩৮ একর জমি তো দেয়নি, এমনকি বিশ্বভারতীর কোনো জমিরই মালিকানা দেওয়া হয়নি।
অমর্ত্য সেনকে নিজের আত্মগরিমা ও বিশ্বভারতীর সুনাম রক্ষায় সবকিছু করতে বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। আলোচনায় না বসলে কর্তৃপক্ষের মামলা ছাড়া কোনো পথ নেই, তাই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করা হয়েছে নোবেল জয়ী অধ্যাপককে।
অমর্ত্য ও বিশ্বভারতীর মধ্যে চলমান সমস্যার মধ্যে গত শনিবার একটি সরকারি নথি প্রকাশ পায়, যাতে শান্তিনিকেতনের ১ দশমিক ৩৮ একর জমি প্রয়াত আশুতোষ সেনকে দীর্ঘমেয়াদে লিজ দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া বীরভূমের জেলা প্রশাসক বিধান রায়ও এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর দাবি করছে, অমর্ত্যের বাবাকে ১ দশমিক ২৫ একর জমিই যে লিজ দেওয়া হয়েছিল সেটির কোনো রেকর্ড নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
এমজে