৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হেনেছে। এটি দেশটিতে গত ৮৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
সোমবার ভোরের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পে দুই দেশের বেশ কয়েকটি শহরের হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার।
অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে জীবিত ও নিহতদের উদ্ধার করছে।
ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরে, যা সিরিয়ার সীমান্ত থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে। তুরস্ক, সিরিয়া, লেবানন, সাইপ্রাস ও ইসরায়েলের কোটি মানুষ ভূমিকম্পটি টের পেয়েছেন।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভূকম্পনবিদ স্টিফেন হিকস বলেন, এর আগে ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহাণি ঘটে।
হিস্টোরি কালেকশন নামে একটি ওয়েবসাইট বলছে, ১৯৩৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল এরজিনকান শহরের।
স্থানীয় সময় রাত ১টা ৫৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তাৎক্ষণিকভাবেই এই ভূমিকম্পে ৮ হাজার মানুষ নিহত হন। সব মিলিয়ে ৩৩ হাজার মানুষ মারা যান। এতে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২০টি ভবন ধ্বংস হয়।
সাম্প্রতিক কয়েকটি ভূমিকম্প
২০২০ সালের অক্টোবরে ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প এজিয়ান সাগরে তুরস্ক উপকূলের কাছাকাছি গ্রিক দ্বীপ সামোসের কাছে আঘাত হানে। এতে তুরস্কে ২৪ জন নিহত হন। গ্রিসেও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানে। এতে ২২ জনের প্রাণহানি ঘটে। আহত হন কয়েকশ। সিরিয়া, জর্জিয়া ও আর্মেনিয়াতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়।
২০১১ সালের অক্টোবরে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৩৮ জনের প্রাণহানি হয়। আহত হন অন্তত ৩৫০ জন। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ভ্যান প্রদেশে, ইরান সীমান্তের কাছাকাছি। ইরাকের উত্তরাঞ্চলে এটি বেশ ভালোভাবে অনুভূত হয়।
২০১০ সালে ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে। এতে ৫১ জনের প্রাণহানি হয়। একটি গ্রামে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়, আরও চারটি গ্রামও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে একই অঞ্চলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়।
১৯৯৯ সালের আগস্টে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলের শহর ইজমিতে আঘাত হানে। এতে ১৭ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ২০২৩
আরএইচ