মোহাম্মদ হামজা, ইসলামিক রিলিফ নামক একটি সাহায্য সংস্থার সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন। সোমবার ভোরের দিকে ভূমিকম্পের সময় তিনি উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ছোট শহর আদ দানায় অবস্থান করছিলেন।
তিন সন্তানের জনক হামজা ভূমিকম্পের আতঙ্কের সময়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
তিনি বিবিসির নিউজআওয়ার অনুষ্ঠানে বলেন, আমার সন্তানেরা ঘুমাচ্ছিল। আমি জানতাম না কী করা উচিত। আমি কি তাদের জাগিয়ে তুলব নাকি তাদের ঘুমেই রাখব?
তিনি বলেন, যেকোনোভাবেই আমরা মারা যাচ্ছি! শুধু এটিই ভাবছিলাম। এই অবস্থা দেখিয়ে কি আমি তাদের ভয় পেতে দেব ?
হামজা বলেন, নাকি এর চেয়ে ভালো বিছানার নিচে চলে যাওয়া? সত্যি বলতে আমি জানতাম না কী করা উচিত। স্তব্ধ হয়ে পড়েছিলাম। আমি অনড় হয়ে পড়েছিলাম, নড়তে পারছিলাম না।
শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে। অনেক ভবন ভেঙে পড়েছে। অনেকে ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন। উদ্ধারকাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
আরএইচ