পেরুর দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধ্বসের ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর নিখোঁজ আছেন আরও ৫ জন।
আল জাজিরা জানিয়েছে, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটে।
পেরুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাহাড়ি শহর সেকোচায় ভূমিধ্বসের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। তাদের চিকিৎসা চলছে। যারা নিখোঁজ আছেন, তাদের সন্ধানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
খবরে আরও বলা হয়, সেকোচায় শহরটি কামানা প্রদেশের ওকোনা নদীর তীরে অবস্থিত। সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নদীর পানি বেড়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ওকোনা নদীতে প্রতি সেকেন্ডে ৫৮৫ দশমিক ৬ কিউবিক মিটার হারে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
ভূমিধ্বসের পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পেরুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আক্রান্ত অঞ্চলটিতে চিকিৎসক, নার্স এবং মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারদের নিয়ে গঠিত দুটি ব্রিগেড পাঠাবে বলে জানিয়েছে। একইসঙ্গে ১৫০ কেজি ওষুধ পাঠানো হবে।
দেশটির সেনাবাহিনীও আক্রান্ত অঞ্চলে হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে। এর মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের মানবিক সহায়তা ও পানি দেওয়া হচ্ছে। জরুরি স্থানে বালির ব্যাগও ফেলা হচ্ছে।
পেরুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, আমাদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত। তবে, আশপাশের এলাকা থেকে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে। কিছু সংবাদমাধ্যম মৃতের সংখ্যা ৩৬ বলে জানাচ্ছে। এ অবস্থায় নাগরিকদের সরকারি উৎস থেকে তথ্য জানতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মারিয়ানো নিকোলাস ভালকারসেল পৌরসভার নাগরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা উইলসন গুতেরেস রেডিও স্টেশন আরপিপিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে ভূমিধ্বসের ঘটনায় ৩৬ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছিলেন। পরে রেডিওটি জানায়, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন উরাস্কি-সেকোচা মহাসড়কে ট্রাকে যাতায়াতের সময় পাথরে আঘাত পেয়ে মারা গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
এমজে