সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। সোমবার ভোরের দিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানে।
ভয়াবহ দুর্যোগের পরপরই নবজাতকটির মায়ের প্রসববেদনা শুরু হয়। মারা যাওয়ার আগে তিনি এই কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে যান বলে জানান স্বজনরা। নবজাতকটির বাবা, চার ভাইবোন ও এক খালাও এই ভূমিকম্পে মারা গিয়েছেন।
একটি ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, এক লোক ধুলায় ঢাকা নবজাতকটিকে কোলে বহন করছে। তাকে জিন্দায়রিসের ওই ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে বের করে আনা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, নবজাতকটি এখন সুস্থ রয়েছে।
ভূমিকম্পে জিন্দায়রিসে প্রায় ৫০টি ভবন ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এর একটিতে থাকত নবজাতকটির পরিবার। জিন্দায়রিস সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের একটি শহর, যেটি তুরস্ক সীমান্তে অবস্থিত।
নবজাতকটির চাচা খলিল আল-সুয়াদি বলেন, ভবন ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে স্বজনরা সেখানে ছুটে যান।
মঙ্গলবার এএফপিকে তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপে খননের সময় আমরা একটি কণ্ঠ শুনতে পাই। আবর্জনা সরিয়ে নবজাতকটিকে নাড়িসহ অবস্থায় পাই। আমরা নাড়ি কাটি এবং আমার চাচাত ভাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শিশু বিশেষজ্ঞ হানি মারুফ বলেন, নবজাতকটিকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে ক্ষত ও আঘাতের চিহ্ন ছিল। তীব্র ঠান্ডায় সে হাইপোথার্মিয়ায় ভুগছিল।
এক ছবিতে দেখা যায়, সে ইনকিউবেটরে শুয়ে আছে। হাতে নল লাগানো। তার মা আফ্রা, বাবা আবদুল্লাহ ও চার ভাইবোনকে একসঙ্গে দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
আরএইচ