নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েলের আঘাতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৫৮ হাজার বাড়ি। ভারী বৃষ্টি ও বাতাসের আগাম সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
উত্তর দ্বীপের কাছাকাছি গ্যাব্রিয়েলের অবস্থান হওয়ায় ইতোমধ্যে অকল্যান্ডসহ পাঁচটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এটি সহায়তা করবে বলে করছে সংশ্লিষ্টরা।
যদিও ঘূর্ণিঝড়টি এখনো ভূপৃষ্ঠ ছুঁতে পারেনি, তারপরও এটি গাছপালা, রাস্তা ও বিদ্যুতের লাইন ভেঙে দিয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নিউজিল্যান্ডের জরুরি ব্যবস্থাপনামন্ত্রী কিয়েরান ম্যাকআনাল্টি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, দেশের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার কথা বিবেচনা করছে সরকার।
তিনি বলেন, নর্থল্যান্ড অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার। একই সময় ১১০ কিলোমিটার গতির বাতাসে কেঁপে উঠছিল অকল্যান্ডের হারবার ব্রিজ।
তিনি আরও বলেন, উচ্চ বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাতের ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ সংমিশ্রণের কারণে সোমবার একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ দিন’ হবে।
কয়েক সপ্তাহ আগে অকল্যান্ড ও আশপাশের অঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা সৃষ্টি হয়েছিল। এতে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
আবহাওয়া সংস্থা মেটসার্ভিস জানিয়েছে, অকল্যান্ডের উত্তরে অবস্থিত ওয়ানগার শহরে গত ১২ ঘণ্টায় ১০০ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
জরুরি ব্যবস্থাপনামন্ত্রী সতর্ক করেন যে, পাওয়ার গ্রিড পুনরুদ্ধার করতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। কারণ, খারাপ আবহাওয়া কাজ করার পরিস্থিতিকে ‘অনিরাপদ’ করে তুলেছে।
অকল্যান্ড ও উত্তর দ্বীপজুড়ে অনেক স্কুল ও স্থানীয় সরকারি সুবিধা বন্ধ রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে লোকেদের ভ্রমণ না করতে বলা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ৫০৯টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় ১০ হাজার যাত্রী। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, মঙ্গলবার স্বাভাবিক পরিষেবাগুলো আবার চালু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
এমএইচএস