ভারতের দিল্লি ও মুম্বাইয়ের বিবিসির অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে দেশটির আয়কর কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আয়কর দফতরের দল বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাইয়ে ‘ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন’ (বিবিসি)-এর কার্যালয়ে পৌঁছায়।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালেও অভিযান শেষ হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার সকালে অফিসে ঢুকেই বিবিসির সব কর্মীদের মোবাইল ও ল্যাপটপ নিজেদের কাছে জমা রাখেন আয়কর কর্তারা। তারপর শুরু হয় ‘সমীক্ষা’। আয়কর কর্মীরা ২০১২ সাল থেকে বিবিসির সব লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখছেন। বিবিসি আগেই টুইট করে আয়কর দফতরের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিল।
এদিকে বিবিসি’র অফিসে আয়কর দফতরের অভিযান ঘিরে ভারতের রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে। ব্রিটেন সরকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। পরিস্থিতি এমনই যে, বিবৃতি দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি।
উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি জারি করেছে ‘এডিটরস গিল্ড’ও। আয়কর দফতরের ‘সমীক্ষার’ নিন্দা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ‘প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া’।
মোদির তথ্যচিত্র ঘিরে বিতর্কের প্রেক্ষিতেই বিবিসির দফতরে এ আয়কর ‘সমীক্ষা’ চলছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’-এর প্রদর্শন বন্ধের জন্য ‘তৎপরতা’ শুরু করে মোদি সরকার। দুই দশক আগে গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে গোধরাকাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
এমএইচএস