আটলান্টিকে ডুবে যাওয়া জাহাজ টাইটানিক নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। সাগরতলে কেমন আছে বিশাল এই জাহাজ, তা দেখতে ১৯৮৬ সালে অন্বেষণ চালানো হয়েছিল।
টাইটানিকের সেই অন্বেষণের অপ্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজ বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯৮৬ সালের জুলাইয়ে পরিচালিত অভিযানকালে ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
১৯১২ সালে প্রথম যাত্রায় ডুবে যাওয়ার পর সেবারই প্রথম মানুষ সাগরতলে এই ভাঙা জাহাজ দেখতে পায়। উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশন বলছে, সেসময় ধারণ করা অধিকাংশ ভিডিও ফুটেজই জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।
উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশন বুধবার রাতে ৮০ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে।
১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে বরফে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় আরএমএস টাইটানিক।
এই জাহাজের দুই হাজার ২০০'রও বেশি যাত্রীর মধ্যে এক হাজার ৫০০ জনই মারা যান বলে ধারণা করা হয়।
১৯৯৭ সালের টাইটানিক সিনেমার ২৫ বছর পূর্তির সঙ্গে মিল রেখেই বুধবার ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে।
ডুবে যাওয়ার পর দীর্ঘ সময় ধরে ধারণা করা হয়েছিল, সাগরের গভীরে বরফশীতল জলের নিচে টাইটানিক হারিয়ে গেছে। তবে ১৯৮৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশন ও ফ্রান্সের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউ অব ওশানোগ্রাফির একটি দল কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়। টাইটানিক সাগরের তিন হাজার ৭৮০ মিটার গভীরে পরে রয়েছে।
১৯৮৬ সালের জুলাইয়ে দলটি ফিরে গিয়ে আরও ১১ বার ডুব দেয়। এতে মানুষ বহনকারী একটি সাবমার্সিবল এবং একটি রিমোট ভেসেল ব্যবহার করা হয়। দুটিতে ক্যামেরা ছিল।
এই যৌথ অভিযান দলে থাকা অভিযাত্রী রবার্ট ব্যালার্ড বুধবার এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলভিন নামে সেই মানুষ বহনকারী সাবমার্সিবলের কথা স্মরণ করেন। সাগরতলে তিনি বিশাল জাহাজটি স্বচক্ষে দেখতে পান।
সূত্র: এবিসি নিউজ ও আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
আরএইচ