বিশ্ব মুসলমানের একমাত্র পথ প্রদর্শক ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ পোড়ানোর দায়ে সুইডেনকে ন্যাটোভুক্ত করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিল তুরস্ক। যৌথ আবেদনের কারণে এ খড়্গ পড়ে ফিনল্যান্ডের ওপরেও।
আল জাজিরার লাইভ আপডেট প্রোগ্রামে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়, ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ তুরস্ককে ট্রান্সআটলান্টিক সামরিক জোটে যোগদানের জন্য সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের আবেদন অনুমোদন করতে অনুরোধ করেছেন।
আঙ্কারায় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনায় বসেন স্টলটেনবার্গ। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আলোচনার পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোয় যোগদানের আবেদন অনুমোদন করার এখনই সময়। আমি বিশ্বাস করি, তুরস্ক এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
তবে, এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে ইঙ্গিত দিয়েছে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। তিনি বলেন, ন্যাটোয় যোগ দিতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের আবেদন আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা হতে পারে।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনার পাশাপাশি সুইডেনের প্রতি তুরস্কের ক্ষোভ কুর্দি গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে। এসব বিষয় সামনে রেখে ন্যাটোতে যোগ দেওয়া নিয়ে তুরস্কের কাছ থেকে সুইডেনের কোনো সহায়তা আশা করা উচিত নয় বলে সতর্ক করেছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও।
সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর মতো গর্হিত কর্মকাণ্ডের আগে কুর্দিরা তুরস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিল। সেখানে এরদোয়ানের কুশপুতুল ঝুলিয়ে রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার আঙ্কারায় মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে ন্যাটো প্রধানের। এ ছাড়া দেশটির ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলো পরিদর্শনের কথাও রয়েছে স্টলটেনবার্গের।
সফর শুরু করার আগে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ন্যাটো মহাসচিব বলেছিলেন, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে একসঙ্গে অনুমোদন দিতে দীর্ঘদিন ধরেই তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। তবে দিন শেষে এটি তুরস্কের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে, তারা একই সময় দুই দেশকে অনুমোদন করবে কিনা।
উল্লেখ্য, তুরস্ক ছাড়াও সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোভুক্তির সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা রয়েছে হাঙ্গেরির। বেশ কয়েকদিন আগে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল দেশটির সরকারের। কিন্তু সেটি আটকে আছে।