বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে গত কয়েক দশক ধরে দ্রুত গলছে উত্তর ও দক্ষিণমেরুর বরফের স্তর। একইসঙ্গে গলছে আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে ভেসে বেড়ানো বিশাল হিমশৈলও।
এক গবেষণা প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টার’ বলেছে, সম্প্রতি বরফ গলার এই প্রবণতা আরও বেড়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ মেরু সমুদ্র ও লাগোয়া অঞ্চলে চলতি সপ্তাহে বরফ ঢাকা এলাকার পরিমাণ ছিল প্রায় ১৯ লাখ বর্গ কিলোমিটার। এটি ১৯৭৯ সালে পরিসংখ্যান শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বনিম্ন মাত্রা। বরফ গলার মৌসুমে সাধারণভাবে এর অনেকটা বেশি এলাকা তুষারে আচ্ছাদিত থাকে।
গত বছরই সবচেয়ে কম বরফ আচ্ছাদিত অঞ্চলের রেকর্ড গড়েছিল দক্ষিণ মেরু। এ বছরের শুরুতেই তা ভেঙে গেল।
‘ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টার’ জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসে বরফ গলার পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভেঙে যেতে পারে এখনকার রেকর্ডও।
পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, মেরুসমুদ্রের বরফ গলে যাওয়ার ঘটনা বিশ্ব উষ্ণায়নের গতিতে ত্বরান্বিত করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, জমাট বাঁধা বরফের স্তূপের সাদা ওপরের স্তর সূর্যের রশ্মির ৯০ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিফলিত করে আকাশে ফেরত পাঠায়। এতে ভূপৃষ্ঠ ঠান্ডা থাকে। কিন্তু এই বরফ গলে সমুদ্রের পানিতে পরিণত হলে তাপমাত্রা শোষণ করে। এতে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
এমএইচএস