রাশিয়ার মিত্র চীনের ১২ দফা শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। গতকাল শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্তির দিন এ প্রস্তাব দিয়েছিল চীন।
দ্য গার্ডিয়ানের লাইভ আপডেট প্রোগ্রামে বলা হয়েছে, চীনের দেওয়া প্রস্তাবের একদিন পরই ইউক্রেন তা প্রত্যাখ্যান করে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়াক এ টুইট বার্তায় এ কথা জানান।
ইউক্রেনকে শান্তি প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধবিরতি ও রাশিয়ার ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আহ্বান জানিয়েছিল চীন।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মাইখাইলো পোদোলিয়াক নিজের টুইট বার্তায় চীনকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা যদি নিজেদের বিশ্ব পরাশক্তি মনে করে থাকেন, এ ধরনের অবাস্তব প্রস্তাব দিতে পারেন না। আপনারা একজন আগ্রাসীর সঙ্গে বাজি ধরবেন না যারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ও যুদ্ধে হেরে যাবে। এটা অদূরদর্শী নয়। যারা কয়েক দশক ধরে পরিকল্পনা করেছে তারা (রাশিয়া) তিন দিনের খেলা খেলে না। চীন, সুযোগের জানালা’ অন্তহীন নয়।
চীন ইউক্রেনকে শান্তি আনতে যে ১২ প্রস্তাব দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- আলোচনার উদ্যোগ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অবসান, পারমাণবিক স্থাপনার নিরাপত্তা, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে মানবিক করিডোর গঠন ও স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা পরিহার ও শস্য রফতানি স্বাভাবিক করা। এ ছাড়া ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষার কথাও বলেছে চীন।
কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, চীন যে শান্তি প্রস্তাবের কথা বলেছে, সেখানে নতুন কিছু নেই। গত এক বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তাদের যে অবস্থায় সেটাকেই নতুন করে বলছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও চীনের শান্তি চুক্তি নিয়ে খুশি নন। কার্যত তিনি এসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। চীনের প্রস্তাবে রাশিয়ার সমর্থন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বাইডেন বলেন, যদি চীনের প্রস্তাবকে ভ্লাদিমির পুতিনই স্বাগত জানান, এটি ভালো হতে পারে কীভাবে?
এ ছাড়া ওই প্রস্তাবে কি আছে সেটি দেখেননি বা অনুমানও করেননি বাইডেন। তিনি মনে করেন, প্রস্তাবটি রাশিয়া ছাড়া অন্য কোনো পক্ষের জন্য লাভজনক নয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
এমজে