ঢাকা: আফ্রিকার দেশ মালাউই ও মোজাম্বিকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৯ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে বহু এলাকা, বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি এবং উপড়ে গেছে গাছপালা।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকা অতিক্রম করে ফ্রেডি। এর আগে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে প্রথমবার আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি।
এই ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে মালাউই। ফ্রেডির কারণে মাটি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িঘর। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৯৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। মালাউইয়ের বাণিজ্যিক রাজধানী ব্ল্যান্টাইরেই মারা গেছেন ৮৫ জন। এছাড়াও দেশটিতে আহত হয়েছেন ১৩৪ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ১৬ জন।
এর আগে সোমবার (১৩ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপণাবিষয়ক কমিশনার চার্লস কালেম্বা বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে। প্রতিবেশী দেশ মোজাম্বিকে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটিতে আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন।
জাতিসংঘের আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উত্তর-পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে ফ্রেডির উৎপত্তি হয়। এটি রেকর্ডে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় বলে মনে করা হচ্ছে। পুরো দক্ষিণ ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে এই ঝড়। ২৪ ফেব্রুয়ারি মোজাম্বিকে পৌঁছানোর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি মাদাগাস্কারে তাণ্ডব চালায় এই ঘূর্ণিঝড়।
জাতিসংঘ বলছে, এই ঝড়ে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে প্রায় ৩৪ দিন ধরে ঘোরাফেরা করেছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বেশি দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে মালাউই। দেশটি তার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ কলেরার প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে লড়াই করছে। গত বছর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে কলেরায় ১ হাজার ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকভেরা ‘দক্ষিণাঞ্চলের এই রাজ্যকে দুর্যোগের রাজ্য’ ঘোষণা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
এনএস