জাপানে আগে ভেন্ডিং মেশিনে বিক্রি হতো তিমি মাছের মাংস, শামুকসহ নানা প্রকার পোকামাকড়। এবার প্রথমবারের মতো সে বিক্রির তালিকায় যোগ হয়েছে ভালুকের মাংস।
জাপানের একটি দৈনিক মাইনিচি শিম্বুন জানিয়েছে, দেশটির সুম্বুকো শহরে একটি ভেন্ডিং মেশিনে কেটে বিভিন্ন আকৃতির কালো ভালুকের মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
ক্রেতারা ২২০০ ইয়েন খরচ করে ২৫০ গ্রাম চর্বিযুক্ত ও চর্বিহীন ভালুকের মাংস কিনতে পারছেন বলে জানিয়েছে ওই পত্রিকাটি।
এশীয় অঞ্চলের কালো ভালুক আন্তর্জাতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত। জাপান বলছে এটি সীমিত সংখ্যকভাবে শিকার করা যেতে পারে।
উত্তরাঞ্চলীয় আকিতা প্রিফেকচারের সেম্বোকুতে সোবা গোরো রেস্তোরাঁর মাধ্যমে পরিচালিত ভেন্ডিং মেশিন থেকে সপ্তাহে ১০-১৫ প্যাক ভালুকের মাংস বিক্রি করা হয়। মূলত নিকটবর্তী পাহাড়ে স্থানীয় শিকারিরা যেসব ভালুক শিকার করেন, সেটির মাংসই এখানে বিক্রি করা হয়। তবে শিকারের মৌসুম শেষ হয়ে গেলে এর স্টকও শেষ যায়।
জাপানে মাথাপিছু বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে, যা ছোট ছোট গলিপথ থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত প্রায় সর্বত্র বিস্তৃত।
জাপানে ভেন্ডিং মেশিন সাধারণত জিদোউ হানবাইকি বা জিহানকি নামে পরিচিত। গত শতাব্দীর ১৯৬০ এর দশকে এগুলো জাপানে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এগুলো জাপানের দোকানগুলোর সংস্কৃতির একটি বিশাল অংশ৷
গত জানুয়ারিতে, টোকিওর কাছে বন্দর শহর ইয়োকোহামাতে একটি মানবহীন আউটলেট যখন ১০০০ ইয়েনের মতো বিভিন্ন জাতের তিমির মাংস সরবরাহ করে তিনটি ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করে তখন বিতর্ক শুরু হয়৷
জাপানে লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিকারিদের গুলি করে ভালুক হত্যার অনুমতি রয়েছে। তবে উপাদেয় খাবার হিসেবে বিবেচিত হওয়া সত্ত্বেও টোকিওর প্রায় সব রেস্তোরাঁয় এ প্রাণীর মাংস পাওয়া যায় না।
গত নভেম্বরে ভালুকের মাংস বিক্রির মেশিনটি ইনস্টল করা হয়। অপারেটররা বলছেন, মেশিন ইনস্টল করার পর থেকে টোকিওর পার্শ্ববর্তী কান্টো অঞ্চল থেকেও ভালুকের মাংসের খোঁজ করা হচ্ছে।
সোবা গোরোর এক প্রতিনিধি মাইনিচি শিম্বুনকে বলেন, ভালুকের মাংসের স্বাদ ভালো এবং এটি ঠাণ্ডা হলেও শক্ত হয় না। এ মাংস দিয়ে স্টু থেকে স্টেক পর্যন্ত প্রায় সব খাবারই তৈরি করা যায়। তাই জাপান জুড়ে ভালুকের মাংসের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বেড়েই চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
জেএইচ