ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য গণহত্যার ঝুঁকি সৃষ্টির অন্যতম উপাদান: গুতেরেস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য গণহত্যার ঝুঁকি সৃষ্টির অন্যতম উপাদান: গুতেরেস

ঢাকা: জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য যে কত সহজে বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধে রূপ নিতে পারে, তা অনুধাবন করতে হবে। বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য হলো গণহত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টিকারী মূল উপাদানগুলোর একটি।

 

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রুয়ান্ডায় তুতসি গণহত্যার ২৯তম বার্ষিকীর আন্তর্জাতিক প্রতিফলন দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় তুতসি জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার আন্তর্জাতিক এই প্রতিফলন দিবসে মাত্র ১০০ দিনে হত্যাকাণ্ডের শিকার ১০ লাখের বেশি শিশু, নারী ও পুরুষের জন্য আমরা শোক পালন করছি।

আমরা ২৯ বছর আগে গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যাদের সিংহভাগই তুতসি জনগোষ্ঠী। তবে তাদের মধ্যে হুতু এবং গণহত্যার বিরোধিতাকারী অন্যরাও রয়েছেন। আমরা ওই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পরও টিকে থাকা মানুষগুলোর সহনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

গুতেরেস আরও বলেন, আমরা রুয়ান্ডার জনগণের ক্ষত সারিয়ে ওঠার, পুনরুদ্ধার ও পুনর্মিলন প্রচেষ্টার কথাও স্মরণ ও স্বীকার করি। সেই সঙ্গে আমরা লজ্জাবনত মস্তকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার কথাও স্মরণ করি। সেই হত্যাকাণ্ডের সময় যা ঘটে গেছে, আমাদের তা অবশ্যই মনে রাখতে হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মও যেন তা মনে রাখে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, নিদারুণ নিষ্ঠুরতার মধ্যে আত্মপ্রসাদ যে কতটা আগুনে ঘি ঢালতে পারে, তাও আমাদের অনুধাবন করতে হবে। একই সঙ্গে আমরা নিজেরাসহ বিশ্বের কোনো জায়গা, কোনো সময়ই বিপদমুক্ত নয়- এটাও আমাদের অনুধাবন করতে হবে।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য গুরুতর লঙ্ঘন প্রতিরোধের দায়িত্ব সবার ওপর সমানভাবে বর্তায়। জাতিসংঘের প্রতিটা সদস্যের এটাই মূল দায়িত্ব- যোগ করেন মহাসচিব।

তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, আমরা একজোট হয়ে ক্রমবর্ধমান অসহনশীলতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। আসুন, আমরা সর্বদা সতর্ক থাকি এবং যেকোনো মুহূর্তে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত থাকি। আসুন, আমরা সত্যিকার অর্থেই রুয়ান্ডার সেইসব মানুষের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা মর্যাদাপূর্ণ, নিরাপদ, ন্যায়সঙ্গত ও সবার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
টিআর/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।