ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বৈঠক করেছেন হিজবুল্লাহ ও হামাসের নেতা। রোববার (৯ এপ্রিল) হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ইসলামী আন্দোলন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া বুধবার থেকে লেবাননের রাজধানীতে অবস্থান করছেন।
ইরান-সমর্থিত শিয়া আন্দোলন হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ লেবানন থেকে তার ভূখণ্ডের দিকে পরের দিন ৩৪টি রকেট হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানোর পর ইসরায়েলের সেনাবাহিনী শুক্রবার ভোরে দক্ষিণ লেবানন এবং গাজা উভয় দিকে পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বৈঠকে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ ও হামাস প্রধান হানিয়া ‘প্রতিরোধের অক্ষের প্রস্তুতি’ এবং তাদের দুই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
‘প্রতিরোধের অক্ষ’ বলতে লেবানিজ, ফিলিস্তিনী, সিরীয়সহ ইসরায়েলের বিরোধিতাকারী ইরান সমর্থিত অন্যান্য গ্রুপকে বুঝনো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তারা পশ্চিম তীর এবং গাজায় প্রতিরোধের তীব্রতা এবং জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের ঘটনা নিয়েও আলোচনা করেছেন, যা তারা কখন মিলিত হয়েছিল তা নির্দিষ্ট করা হয়নি।
বুধবার ইসরায়েলি পুলিশ আল-আকসা মসজিদে হামলা চালায়। যদিও পুলিশ বলছে মসজিদের ভেতর মুখোশধারী আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছিল, তাদের সরিয়ে দিতেই তারা মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে।
লেবানন এবং গাজায় হামলার পর, ইসরায়েল রোববার (৯ এপ্রিল) ভোরে ঘোষণা করেছে যে তারা সিরিয়ার ভূখণ্ড থেকে ছোড়া ৬টি রকেটের জবাবে সিরিয়ায় লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
জেএইচ