আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চাঁদের মাটি থেকে তৈরি ইট দিয়ে চাঁদেই একটি ঘাঁটি নির্মাণ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে চীন।
হুয়াজং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শীর্ষ বিজ্ঞানী দিং লাইউন স্থানীয় মিডিয়াকে বলেন, ২০২৮ সালের দিকে চেঞ্জ-৮ মিশনের সময় চাঁদের মাটি থেকে প্রথম ইট তৈরি করা হবে।
চীন আগেই বলেছে তার ওই ঘাঁটি পারমাণবিক শক্তি দ্বারা চালিত হবে। এতে একটি ল্যান্ডার, হপার, অরবিটার এবং রোভার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যার সবকটিই চেঞ্জ-৬, ৭ ও ৮ মিশন দ্বারা নির্মিত হবে।
দিং লাইউন বলেন, পৃথিবীর বাইরে বাসস্থান নির্মাণ শুধুমাত্র মহাকাশ ও মানবতার অনুসন্ধানের জন্য নয়, মহাকাশ শক্তি হিসেবে চীনের কৌশলগত প্রয়োজনের জন্যও অপরিহার্য। চীন একটি মনুষ্যবাহী চন্দ্র ঘাঁটি নির্মাণের বিষয়ে আলোচনার জন্য উহানে তার প্রথম বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় মন্তব্যগুলো উঠে আসে।
চীন এরই মধ্যে চাঁদে পরীক্ষার যন্ত্র পাঠিয়েছে, নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি ও মঙ্গল গ্রহে তার দর্শনীয় স্থানগুলোও সেট করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে পৃথিবী থেকে দূরে পাওয়া খনিজ এবং অন্যান্য সম্পদে অ্যাক্সেস পাওয়া চীনের জন্য প্রথম।
চাঁদে বর্জ্যমুক্ত পারমাণবিক শক্তির উৎস রয়েছে যা ২৫০ বছর বৈশ্বিক শক্তির চাহিদা মেটাতে পারে বলে মনে করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন শত শত বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ আহরণ নিয়ে সংঘর্ষে জড়াতে পারে অনেক দেশ।
চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কর্পোরেশন বলছে, চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য ২০২৫ সালে চেঞ্জ-৬ চালু হবে। পরের বছর চালু করা হবে পানি ও ররফ অনুসন্ধানের জন্য চেঞ্জ-৭ চালু করা হবে। এর দুই বছর পর অর্থাৎ ২০২৮ সালে চালু করা হবে চেঞ্জ-৮।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
জেএইচ