বাজার দখলের হার ধীরে ধীরে হ্রাস করে চীন মুদ্রার ওপর তাদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে পারে। বিশ্বব্যাপী ইউয়ানকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করে শনিবার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এ আভাস দেন।
পিপলস ব্যাংক অব চায়নার গভর্নর ইয়ি গ্যাং আরো বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন আর্থিক নীতি গ্রহণ করতে পারে যার লক্ষ্য হবে প্রকৃত সুদের হার সম্ভাব্য বৃদ্ধির হার থেকে কিছুটা নিচে রাখা।
ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন এক সেমিনারে ইয়ি বলেন, ‘আমরা কিছু সময়ের জন্য মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছি। ’
গভর্নর বলেন, ‘আর্থিক নীতি এমন হওয়া দরকার, যেখানে বিনিময় হার বাজারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে এবং কর্তৃপক্ষ যতটা সম্ভব কম হস্তক্ষেপ করবে। ’ তবে তিনি এও বলেন, বাজারের অস্থিরতার সময় চীন হস্তক্ষেপ করার অধিকার সংরক্ষণ করে। তবে বাজারের নিজস্ব ফোর্সগুলোকে এমন সুযোগ দিতে হবে যেন তারা মুদ্রাকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে।
ইয়ি বলেন, প্রায় ২ শতাংশ বিনিময় হার এবং মুদ্রানীতির মাধ্যমে চীন মুদ্রাস্ফীতিকে ‘খুবই স্থিতিশীল’ রাখতে পেরেছে।
এদিকে চীনা নেতারা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির জন্য সমর্থন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ডিসেম্বরে হঠাৎ করে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর দেশটি মন্দা থেকে ধীরে ধীরে ফিরে আসছে।
মার্কিন ও ইউরোপীয় ব্যাংকিং খাতের সমস্যাগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অস্বচ্ছ করে তুলছে। আর্থিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য মুদ্রানীতির বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করা উচিত কি না—সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকাররা আইএমএফের বৈঠকে জড়ো হয়ে বিতর্ক করেছেন।
উল্লেখ্য, চীন বিশ্বের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় ঋণদাতা। কিছু নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশের জন্য তারা ঋণ সমস্যা সমাধানের উপায়ও খুঁজে দেয়। চীন শ্রীলঙ্কার ঋণ পুনর্গঠনের সমন্বয়ের জন্য জাপানের উদ্যোগে একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে যোগ দিতে পারে কি না জানতে চাইলে চীনা গভর্নর বলেন, ‘আমরা যদি সহযোগিতা করতে পারি, যদি আমরা সমানভাবে এবং ন্যায্যভাবে বোঝা ভাগ করতে পারি, আমি মনে করি, আমরা সমস্যাটি সমাধান করতে পারব। ’
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নি পোস্ট
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৩
জেএইচ