পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি আগামী মাসে ভারতে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবেন। এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এসসিও হলো একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক নিরাপত্তা ব্লক। এর সদস্য রাষ্ট্র হলো- রাশিয়া, চীন, ভারত ও পাকিস্তান।
দীর্ঘ ১২ বছর পর ভারত সফরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেউ। এর আগে ২০১১ সালে তৎকালীন শীর্ষ পাকিস্তানি কূটনীতিক হিনা রব্বানি খা ভারত সফর করেন। এরপর প্রথমবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যাচ্ছেন ভারতে।
এছাড়া ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদি শপথ গ্রহণের সময় ভারতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। বর্তমানে তার ভাই শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
দুইদিনের এ সমাবেশ ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গোয়ায় আগামী ৪ মে শুরু হবে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরাহ বালোচ বলেছেন, ভুট্টো-জারদারি তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে এ বৈঠকে যোগ দেবেন। পাকিস্তান এসসিওর প্রতি আমাদের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে এসসিও বৈঠকে অংশগ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার ২০১৯ সালে দেশটির একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের আংশিক স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।
কাশ্মীরের হিমালয় অঞ্চলের দাবিদার দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশ দুটি, তবে প্রত্যেকে এ অঞ্চলের কিছু অংশ শাসন করে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে পাকিস্তান ও ভারত তিনটি যুদ্ধ করেছে। এর মধ্যে বিতর্কিত কাশ্মির অঞ্চল ছিল উভয় দেশের দু’টি যুদ্ধের মূল কারণ। অবশ্য ভারত-শাসিত কাশ্মিরে কয়েক দশক ধরে চলা বিদ্রোহের জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে থাকে নয়াদিল্লি। তবে ভারতের এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে পাকিস্তান।
সূত্র: আলজাজিরা
জেএইচ