২০২২ সালে বিশ্বের ৫৮টি দেশের প্রায় ২৫৮ মিলিয়ন মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল। যা তার আগের বছরের (২০২১) চেয়ে ৬৫ মিলিয়ন বেশি।
২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৯৩ মিলিয়ন।
জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে- বৈশ্বিক দ্বন্দ্ব, জলবায়ু পরিবর্তন, করোনাভাইরাসের প্রভাব ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
দ্য গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস বলছে- সোমালিয়া, আফগানিস্তান, বুরকিনা ফাসো, হাইতি, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান ও ইয়েমেনের মানুষ অনাহার এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিল।
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক সংস্থাগুলোর অন্যান্য জোটের মধ্যে একটি দ্য গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন ও জরুরি খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন এমন লোকের সংখ্যা ২৫৮ মিলিয়ন। টানা চতুর্থ বছরের মতো এটি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস বলেন, ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্যতা, গভীরতর বৈষম্য, ব্যাপক অনুন্নয়ন, জলবায়ু সংকট এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার জন্য দায়ী।
ইউএন ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের জরুরি অবস্থা ও স্থিতিস্থাপকতার পরিচালক রেইন পলসেন বলেছেন- দ্বন্দ্ব, জলবায়ু ধাক্কা, মহামারির প্রভাব ও ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বিশ্ব বাণিজ্যে প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন, খাদ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল দরিদ্র দেশগুলোতে এর প্রভাব তীব্র হয়েছে।
সূত্র- আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৩
এমএইচএস