বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোচায় মিয়ানমানের নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। সোমবার পশ্চিম মিয়ানমারের সঙ্গে ধীরে ধীরে যোগাযোগ ফেরায় এ পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (১৪ মে) ঝড়টি মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানে। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এক প্রতিবেদনে ১৬ মে এসব খবর জানিয়েছে।
ইরাবতী বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারের সিত্তেতে বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটিই বঙ্গোপসাগরে সবচেয়ে বড় ঝড়।
সিত্তের উত্তরপশ্চিম দিকের খাউং ডোক কার গ্রামে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক নেতা সামরিক জান্তার ভয়ে নাম না প্রকাশ করে এএফপিকে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা গ্রাম ও আইডিপি ক্যাম্পের নিচু এলাকা থেকে কয়েকজনের নিখোঁজ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এএফপির ভিডিও থেকে দেখা যায়, মাছ ধরার একটি কাঠের নৌকা সৈকতে ভেঙে পড়েছে।
এদিকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অন্তত পাঁচজন মারা গেছেন। বেশ কয়েকজন বাসিন্দা আহত হয়েছেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশজুড়ে ৮৬০টির বেশি বাড়িঘর ও ১৪টি হাসপাতাল বা ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবারও রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তেতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন ছিল। স্থানটি দেড় লাখ লোকের আবাসস্থল। সাইক্লোন ট্র্যাকার বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি এই অঞ্চলের ওপর দিয়েই অতিক্রম করে।
শতশত লোক যারা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তারা শহরে ফিরে আসছেন। শহরের সড়কে ভাঙা গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে।
স্থানীয় উদ্ধারকর্মী কো লিন লিন এএফপিকে বলেন, শহরে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ২৫ জন অন্তত আহত হয়েছেন। এটি এখনও জানা যায়নি এই পাঁচজনের কেউ সামরিক জান্তার বিবৃতিতে দেওয়া তালিকায় রয়েছেন কি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
আরএইচ