ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অনুপস্থিতদের ভোটেই হচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
অনুপস্থিতদের ভোটেই হচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট? ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কের প্রথম দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যাননি প্রায় ৮০ লাখ ভোটার। রোববার (২৮ মে) দেশটিতে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন।

এ দফার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়া ভোটারদের যে প্রার্থী কাছে টানতে পারবেন তিনিই বিজয়ের হাসি হাসবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

প্রথম দফার ভোটে রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের চেয়ে প্রায় ২৫ লাখ ভোটে পিছিয়ে আছেন কামাল কিলিচদারোগলু।  

তুরস্কের প্রথম দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৪ মে। এতে টানা ২০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে তুরস্কের ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান পান ৪৯ শতাংশেরও বেশি ভোট।  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পান ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। অপর প্রার্থী সিনান ওগান পান ৫ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। ভোটের আগে সরে যাওয়া প্রার্থী মুহাররেম ইনচে পান দশমিক ৫ শতাংশ ভোট।

প্রসঙ্গত, এ নির্বাচনে জিততে হলে একজন প্রার্থীকে মোট প্রদত্ত ভোটের অন্তত ৫০ শতাংশ পেতে হবে। নতুবা দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভোট নেওয়া হবে।

এরই মধ্যে ভোটে তৃতীয় স্থান পাওয়া সিনান ওগান গত সোমবার (২২ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ পরিস্থিতিতে এরদোয়ানকে সমর্থন করবেন তিনি।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, সিনানের এ বিবৃতি থেকেই স্পষ্ট, এরদোয়ানের জয় এখন সময়ের অপেক্ষা। যদিও ভোট না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না তারা।

এরদোয়ান বলেছেন, নির্বাচনে কামালের জয় হলে সন্ত্রাসবাদ জিতে যাবে। অন্যদিকে কামাল সিরিয়া থেকে আসা শরণার্থীদের ইস্যু সামনে এনে জাতীয়তাবাদী ভোট নিজের আয়ত্বে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

এদিকে, চলতি সপ্তাহে একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ভোটের প্রচারে নামেন কামাল। এ চ্যানেলের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেন তিনি। ভোটার ও সমর্থকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ এ অনুষ্ঠান দেখেন।  

জাতীয়তাবাদী গুড পার্টির তরুণ প্রচারক মেহতেপ বলেন, ইউটিউবে কামালের ওই অনুষ্ঠান তরুণদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। অনেক তরুণ ভোটার প্রথম দফায় ভোটকেন্দ্রে যাননি। তারা এখন নতুন করে ভাবছেন।

তুরস্কের ভিক্টোরি পার্টির নেতা উমিত ওজদাগ প্রথম দফার নির্বাচনে ১২ লাখ ভোট পায়। দ্বিতীয় দফায় দলটি কামালকে সমর্থন দিয়েছে। উমিত বলেন, ক্ষমতায় গেলে ১ কোটি ৩০ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে নিজ দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কামাল।

এ বিষয়ে এরদোয়ান বলেন, এরই মধ্যে সিরীয় শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তিনি। আবারও ক্ষমতায় গেলে এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হবে। আরও বেশিসংখ্যক শরণার্থীকে ফেরত পাঠানো হবে।

সূত্র: বিবিসি

আরও পড়ুন: জয়ের পথে এগিয়ে গেলেন এরদোয়ান?

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।