ভারতের মণিপুর রাজ্য শনিবার থেকে নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে। একাধিক স্থানে গুলির পাশাপাশি অনেক বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবারও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় গুলির লড়াই হয়েছে। অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যেই এদিন রাত ৯টা নাগাদ ইম্ফলে এসে পৌঁছান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
চারদিনের সফরে ইম্ফলে পা দিয়েই অমিত শাহ সোজা চলে যান মণিপুরের সচিবালয়ে। রাতেই সেখানে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এবং স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মণিপুর সরকারের সূত্রে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, মঙ্গলবার রাজ্যের একাধিক সহিংসতা কবলিত এলাকায় যেতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি আহতদের দেখতে হাসপাতালে যেতে পারেন তিনি।
মণিপুরে শান্তি এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অমিত শাহ মণিপুরে আসার আগের ৪৮ ঘণ্টায় বিষ্ণুপুর, চুড়াচাঁদপুর, ইম্ফল পূর্ব জেলা, কাকচিং, সুগুনুসহ নানা জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। সোমবারও মণিপুরের নানা জায়গায় গুলির লড়াই চলেছে।
সোমবারও কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলেছে। আগের দিন কুকি বিচ্ছন্নতাবাদীদের হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা, তিনজন সাধারণ নাগরিকসহ অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই।
সেনা ও নিরাপত্তাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে অন্তত ৩৩ জন কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদী মারা গিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী।
অমিত শাহ মণিপুরে আসার ঠিক আগেই সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগ দাবি করেছে সেই রাজ্যের বিজেপি।
চলতি মাসের ৩ তারিখ থেকেই মেইতেই এবং আদিবাসী-উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিক্ষোভ এবং সংঘর্ষের জেরে সেখানে প্রাণহানিও হয়েছে। মণিপুর উত্তপ্ত হওয়ার পর ৩৫৫ ধারা জারি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
আরএইচ