নিজেদের তৈরি প্রথম হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে ইরান। মঙ্গলবার (৬ জুন) দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাহিসি ও অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের কমান্ডারদের উপস্থিতিতে ক্ষেপণাস্ত্রটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
ইরানি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ’র বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, এ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ফাত্তাহ বা বিজয়ী। এটি উন্মোচনের পর তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা সম্পর্কে পশ্চিমাদের উদ্বেগ বেড়ে যেতে পারে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী রেভ্যুলশনারি গার্ডস এরোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমিরালি হাজিজাদেহ বলেছেন, ফাত্তাহ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্ভুলভাবে ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার বেগে সমস্ত প্রতিরক্ষা ঢাল ভেদ করতে সক্ষম।
ব্যালিস্টিক ফাত্তাহ শব্দের গতির চেয়ে অন্তত পাঁচগুণ দ্রুত ও জটিল গতিপথে উড়তে পারে। প্রতিপক্ষের জন্য এটি আটকে দেওয়া কঠিন।
২০২২ সালে ইরান একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কথা জানায়। তখন দাবি করা হয়েছিল, অস্ত্রটি বায়ুমণ্ডলের ভেতরে ও বাইরে ‘ম্যানুভার’ করতে সক্ষম।
ব্যালিস্টিক ফাত্তাহ সম্পর্কেও এর উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য দেওয়া হয়।
আইআরএনএ বলছে, শত্রুর উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী সিস্টেমকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে ফাত্তাহ। ইসরায়েলের আয়রন ডোমসহ যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী শাসকদের সবচেয়ে উন্নত অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকেও এটি বাইপাস করতে সক্ষম। এটি শব্দের চেয়ে ১৪ গুণ বেশি দ্রুত ছুটতে পারে এবং ঘণ্টায় প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে।
ইরানের প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিরোধিতা থাকলেও দেশটি বলছে, তারা এ কর্মসূচি আরও উন্নত ও বেগবান করবে। পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা সম্পর্কে ইরান কখনো কখনো নিজেদের অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ায় হাইপারসনিক মিসাইল প্রযুক্তি উন্মোচন করা হয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র এখনও এর সফর পরীক্ষা চালাতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৩
এমজে