চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দূতাবাস খুলেছে হন্ডুরাস। রোববার (১১ জুন) এ দূতাবাস খোলা হয়।
মধ্য আমেরিকার দেশ তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কয়েক মাসের মধ্যে চীনের সঙ্গে এ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হলো।
চীনের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি প্রতিবেদনে বলেছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং এবং হন্ডুরাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এনরিক রেইনা রোববার সকালে দূতাবাসের উদ্বোধনে অংশ নেন। হন্ডুরাসকে এখন দূতাবাসের স্থায়ী অবস্থান নির্ধারণ করতে হবে এবং এর কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুই পক্ষের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো ছয়দিনের সফরে চীনে অবস্থান করছেন।
তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা সর্বশেষ দেশ হিসেবে হন্ডুরাস গত মার্চ মাসে চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
তাইওয়ানকে নিজ দেশের প্রদেশ হিসেবে দেখে চীন। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে পুনরায় দখল করা হবে এমন দাবি চীনের। এরই মধ্যে চীন তার কূটনৈতিক অংশীদারদের তাইপেইয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রাখতে নিষেধ করেছে।
হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট কাস্ত্রো চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পর তার প্রথম সফরে শুক্রবার (৯ জুন) সাংহাই পৌঁছান। সাংহাইতে অবস্থানকালে তিনি ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) দেশগুলোর প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন। এ নিয়ো কাস্ত্রো শনিবার (১০ জুন) একটি টুইট করেছেন।
চীনের সরকারি গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, শনিবার রাতে বেইজিং পৌঁছানোর আগে প্রেসিডেন্ট কাস্ত্রো প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ের একটি গবেষণা কেন্দ্রও পরিদর্শন করেন।
বেইজিং এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে মার্চ মাসে হন্ডুরাস-চীন সম্পর্ক স্থাপন ছিল দুই দেশের একটি কূটনৈতিক বিজয়।
১৯৪৯ সালের অক্টোবরে চিয়াং কাই-শেকের কুওমিনতাঙ (কেএমটি) জাতীয়তাবাদীদের গৃহযুদ্ধে পরাজিত করে বেইজিংয়ের ক্ষমতা দখল করে। এরপর কেএমটি তাইওয়ান দ্বীপে পালিয়ে যায়। একই বছরের ডিসেম্বরে কেএমটি তাইপেইতে তাদের নিজস্ব সরকার গঠন করে এবং চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
সূত্র: দ্য হিন্দু
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
জেএইচ