আসামের বন্যা পরিস্থিতি শুক্রবার (২৩ জুন) আরও খারাপ হয়েছে। প্রায় ২২টি জেলায় পানি বেড়েছে।
সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নলবাড়ি, বরপেটা, লখিমপুর, বাকশা, তমুলপুর, দাড়াং ও কোকড়াঝাড় অঞ্চলে। এসব জেলায় সবমিলিয়ে প্রায় এক হাজার ৫০০ হেক্টর চাষের জমি তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসল।
আসামের প্রশাসন জানিয়েছে, ১ হাজার ৩৬৬টি গ্রাম সম্পূর্ণ জলের তলায়। বৃহস্পতিবার সারা দিন বৃষ্টি হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার অনেক উপর দিয়ে বইছে।
নিমতিঘাট এবং জোরহাটে রেড অ্যালার্ট জারি করে রাখা হয়েছে। ধুবরি ও বেকি নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে। মানস ও পাগলাদিয়া নদীও বিপৎসীমার উপরে। ফলে চারদিক থেকে পানি প্রবেশ করছে বসতি অঞ্চলে।
প্রশাসনের পক্ষে এখনো পর্যন্ত ৮৩টি আশ্রয় শিবির তৈরি করা হয়েছে। ত্রাণ বন্টনের জন্য ৭৯টি শিবির তৈরি হয়েছে। আশ্রয় শিবির আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
২২টি জেলায় হাজার হাজার মানুষ মহাসড়ক, নদী সংলগ্ন উঁচু বাঁধ এবং রেল লাইনে অস্থায়ী শিবির বানিয়ে থাকছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দল গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬১টি জন দুর্গতকে উদ্ধার করেছেন বলে জানিয়েছে।
এখনো পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে বহু এলাকা থেকেই নিখোঁজের খবর আসছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে সব এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এখনো পর্যন্ত ১০টি বাঁধ, ৯২টি রাস্তা, তিনটি সেতু তলিয়ে গেছে।
সূত্র: এনএনআই ও পিটিআই অবলম্বনে ডয়চে ভেলে
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
আরএইচ