মিশর ও তুরস্ক একে অন্যের রাজধানীতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে, যা গেল এক দশকের মধ্যে প্রথম। স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে এই পদক্ষেপ।
২০১৩ সালে মিশরের তৎকালীন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি আঙ্কারার মিত্র মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দুই দেশের সম্পর্ক ভেঙে যায়। তখন মিশর তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে।
সেই ঘটনার পর থেকে দুই দেশে পরস্পরের রাষ্ট্রদূত ছিল না। এখন সিসি মিশরের প্রেসিডেন্ট। গেল মে মাসে তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে রাজি হন।
আঙ্কারায় মিশরের দূত হিসেবে নিযুক্ত হলেন এএমআর এলহাম্মি, যেখানে তুরস্ক কায়রোতে সালিহ মুতলু সেনকে কায়রোর রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বলে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়।
দুই দেশে পরস্পরের রাষ্ট্রদূত নিযুক্তির ঘটনা সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এক ঘোষণায় এমনটি বলেন।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সব ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক দ্রুত উন্নত হবে। এটি আমাদের প্রেসিডেন্ট ও সরকারের ইচ্ছা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৩
আরএইচ