বর্ষার শুরুতেই ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে ভারতের হিমাচল, উত্তরাখণ্ড ও দিল্লি। গত তিন দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে দেশটিতে মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হিমাচল প্রদেশের। সেখানে মানালি, কুলু, চাম্বা, কিন্নৌরে নদীতে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। নেমেছে পাহাড়ি ধস। উত্তাল নদী একের পর এক বাঁধ ভেঙে দিয়েছে। শতদ্রু, বিপাশা, চন্দ্রভাগাসহ অনেক নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মানালি, কুলু, কাসোলে অনেক গাড়ি স্রোতের পানিতে ভেসে গেছে। ভূমি ধসের ফলে হিমাচলে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের অবস্থাও খারাপ। সেখানেও ধস ও বন্যার খবর এসেছে। প্রায় প্রতিটি নদীতেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের কাথুয়া ও সাম্বাতে বিপদসংকেত জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। তিনদিন বন্ধ থাকার পর রোববার অমরনাথ যাত্রা আবার শুরু হয়েছে।
এদিকে দিল্লি ও গুড়গাঁওতে পরপর দুইদিন প্রবল বৃষ্টিতে অনেক রাস্তায় পানি জমে গেছে। অনেক গাড়ি সেখানে আটকে পড়েছে।
সোমবার দিল্লি ও গুড়গাঁতে সব স্কুলে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি সরকার বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার জন্য ১৬টি কন্ট্রোল রুম খুলেছে। হরিয়ানা থেকে যমুনায় এক লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। যার কারণে যমুনার নিচু এলাকা ভেসে যাচ্ছে।
রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতেও নিচু এলাকাগুলো ডুবে গেছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় সব স্কুল, অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৩
এমএইচএস