ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে ইরাকি দূতাবাসের সামনে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনে আগুন দেয় দুই ডেনিশ প্যাট্রিয়ট। এ ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছে ইরাক ও কয়েকটি মুসলিম দেশ।
এ বিষয়ে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ ধরনের ঘটনা চরমপন্থা এবং ঘৃণার ভাইরাস ছড়ায় যা বিভিন্ন সমাজের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে হুমকির মুখে ফেলে।
এই পবিত্রতাহানীর প্রতিবাদে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। এ ধরণের কর্মকাণ্ড অনুমোদন করার জন্য বিক্ষোভকারীরা সবাই ডেনমার্ক ও সুইডেনের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছে।
তুরস্ক এই ঘটনাকে কোরআন প্রতি একটি ঘৃণ্য আচরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
আলজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে নিন্দা প্রকাশের জন্য ড্যানিশ রাষ্ট্রদূত ও সুইডেনের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে।
এর আগে সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভ করে ইরান। কাতারের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে, এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হিসেবে দেশটির সউক আল বালাদি মার্কেট থেকে সুইডেনের পণ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এদিকে এক টুইট বার্তায় ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, আজ হাতে গোনা কয়েকজন যে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটিয়েছে তার নিন্দা জানায় ডেনমার্ক। এ ধরণের উস্কানিমূলক এবং লজ্জাজনক কর্মকাণ্ড ড্যানিশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করে না। সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সহিংসতা কখনোই কোনো প্রতিক্রিয়া হতে পারে না।
সূত্র- বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
এমএইচএস