ব্রিটিশ রাজনীতিক নাইজেল ফারাজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করায় সৃষ্ট তোলপাড় দুই প্রধান নির্বাহীর পদত্যাগ পর্যন্ত গড়িয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন সেখানকার মুসলিম নেতারা।
প্রায় এক দশক আগে ফিনসবারি পার্ক মসজিদসহ তিনটি মুসলিম সংস্থার এইচএসবিসি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তখন জনসাধারণের কাছ থেকে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বা কেউ প্রতিবাদও করেনি।
এমন ঘটনাকে ‘দ্বিচারিতা’ বলে সমালোচনা করেছেন ফিনসবারি পার্ক মসজিদের চেয়ার মোহাম্মদ কোজবার। একইসঙ্গে তিনি হতাশার কথাও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ব্রিটিশ মুসলিমরা গত এক দশক ধরে এই সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে আসছেন, তাদের একা একাই লড়াই করতে হচ্ছে।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের (পিএসসি) মতো আকস্মিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে এমন অন্যান্য সংস্থাগুলোও একই আওয়াজ তুলছে।
কোজবার বলেন, কারো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বিনা কারণে বন্ধ করা উচিত নয়। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বা ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এটি হওয়া উচিত নয়। আমাদের সঙ্গে এটিই ঘটেছিল, কিন্তু সেই সময়ে কেউই পাত্তা দেয়নি, কেউ এই বিষয়ে কথা বলেনি এবং আমাদের নিজেদেরই সংগ্রাম করতে হয়েছিল এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছিল।
সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত করে বৈশ্বিক একটি ডাটাবেসে ভুলভাবে অন্তর্ভুক্ত করার কারণে ২০১৭ সালে ফিনসবারি পার্ক মসজিদ ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণ জিতেছিল।
কোজবার বলেন, আমরা এখন দ্বিচারিতা দেখছি। যখন নাইজেল ফারাজের একটি সমস্যা হলো, লোকজন এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করলো। প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এটি একটি জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হলো, এটি এমনই হওয়া উচিত। কিন্তু, আমরা হতাশ, কারণ যখন আমাদের মতো প্রতিষ্ঠানের কথা আসে, তখন কেউ পাত্তা দেয় না।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ মুসলমানদের জন্য এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা, যার মধ্যে ব্যক্তি, ১২ বছরের কম বয়সী শিশুসহ সংস্থাগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেন বন্ধ করা হয়, তার অল্প ব্যাখ্যাই থাকে। সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করারও কোনো উপায় থাকে না।
পুরো প্রক্রিয়াটি পর্যালোচনা করার জন্য সরকার এবং ব্যাংকগুলোর কিছু পদক্ষেপ দেখে খুব ভালো লাগছে- বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
আরএইচ