ভারতে অনাস্থা বিতর্কে বিরোধী জোট মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করলো, আর বিজেপি নিশানা করলো রাহুল-সোনিয়াকে।
প্রথমে ঠিক ছিল, বিরোধীদের পক্ষে রাহুল গান্ধী অনাস্থা বিতর্ক শুরু করবেন।
সংসদীয়মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী লোকসভায় প্রশ্ন তোলেন, ১১টা ৫৫ মিনিটে স্পিকারের অফিসে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল, রাহুলই বিতর্ক শুরু করবেন। পাঁচ মিনিটের মধ্যে কী এমন হলো যে, রাহুল নয়, গৌরব গগৈ বিতর্ক শুরু করলেন!
বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, শেষ বলে তিনি ছক্কা মারবেন। অনাস্থা বিতর্কের জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই বিরোধীদের যুক্তি উড়িয়ে পাল্টা আক্রমণ করবেন তিনি। আর অনাস্থা বিতর্ক থেকে এইভাবেই রাজনৈতিক লাভ তুলবে বিজেপি।
সূত্র জানাচ্ছে, সেজন্যই রাহুলকে প্রথম দিনের জন্য রাখতে চাননি কংগ্রেস নেতারা। তারা রাহুলকে বৃহস্পতিবার চান। তাহলে মোদি বনাম রাহুল দ্বৈরথ দেখা যাবে। আর যদি বুধবার বলতে চান রাহুল, তাহলেও লড়াইটা তিনি উচ্চগ্রামে নিয়ে যাবেন। তার আগে দেখে নেবেন, বিজেপি কোন দিক থেকে বিরোধীদের আক্রমণ করতে চাইছে।
গৌরব গগৈ বিতর্ক শুরু করে বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তিনটি প্রশ্ন করতে চান। রাহুল গান্ধী, অমিত শাহ মণিপুর গেছেন, প্রধানমন্ত্রী কেন যাননি? প্রধানমন্ত্রী কেন ৮০ দিন পর মণিপুর নিয়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ড বলেছেন? এত সহিংসতার পরও প্রধানমন্ত্রী কেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে সরাচ্ছেন না?
বিজেপির পক্ষ থেকে প্রথমে বলেন নিশিকান্ত দুবে। তার নিশানায় ছিলেন মূলত রাহুল ও সোনিয়া। নিশিকান্ত বলেন, সুপ্রিম কোর্ট রাহুলের মামলা নিয়ে কোনো রায় দেননি। স্থগিতাদেশ দিয়েছেন মাত্র। রাহুল বলছেন, তিনি সাভারকর হবেন না। অনেক চেষ্টা করেও তিনি তা হতে পারবেন না।
আর সোনিয়ার প্রসঙ্গে নিশিকান্ত বলেন, তিনি একেবারে ভারতীয় মেয়েদের মতো। ছেলে ও জামাইকে আগলে রেখেছেন।
তৃণমূলের পক্ষে বলেন সৌগত রায় বলেন, মণিপুরের যে ভিডিও সামনে এসেছে, তা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে? অথচ, নিশিকান্ত মণিপুর নিয়ে কোনো কথাই বললেন না।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে তিনি বলেন, জিনিসের দাম বাড়ছে। সরকার চাকরি দিতে পারছে না। মোদি সংসদে কোনো প্রশ্নের জবাব দেন না। তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৩
আরএইচ