ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দমনপীড়ন: বেলারুশের বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
দমনপীড়ন: বেলারুশের বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো সরকারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও নিউজিল্যান্ড।

এসব নিষেধাজ্ঞার অধীনে লুকাশেঙ্কো ও শাসকগোষ্ঠীর ১০১ জন কর্মকর্তা এবং তাদের সহযোগীরা রয়েছেন।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে দেশটির কয়েকজন বিচারকও রয়েছেন।

জনগণ ও বিরোধীদলের ওপর দমন-নিপীড়ন চালানোয় ও ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে সহায়তার কারণে দেশটির আটজন ব্যক্তি এবং ৫টি এনটিটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।  

বুধবার (৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেন।  

বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, বেলারুশে জালিয়াতির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তিন বছর পূর্ণ হলো। লুকাশেঙ্কো শাসকগোষ্ঠী বেলারুশের জনগণের স্বাধীনতার দাবিকে দমনপীড়ন করছেন। বেলারুশের সাহসী জনগণের পাশে অব্যাহতভাবে অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের। এ দেশটির জনগণ দেশে আইনের শাসন চান।

লুকাশেঙ্কো শাসকগোষ্ঠী ১৫০০ রাজনৈতিক কর্মীকে আটকে রেখেছে দাবি করে ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা তাদের অবিলম্বে এবং শর্তহীন মুক্তি দাবি করছি। এর মধ্যে আছেন আলেস বিয়ালিয়াটস্কি, ভিক্টর বাবারিকা, মারিয়া কালেসনিকাভা, ইহাক রোসিক, সিয়ারহেই টসিখানোস্কি।  

বেলারুশে জবাবদিহিতামূলক, গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার চায় যুক্তরাষ্ট্র, জানান ব্লিঙ্কেন।  

এ বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, ২০২০ সাল থেকে বেলারুশের জনগণের ওপর, বিরোধী দলগুলোর ওপর দমনপীড়ন, নিষ্পেষণ চালিয়ে যাচ্ছে লুকাশেঙ্কো শাসকগোষ্ঠী। তারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী ও কমিউনিটি নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। এ অবস্থায় গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য বেলারুশের জনগণকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে মানবাধিকারকে সম্মান দেখানো হবে।  

অন্যদিকে বেলারুশের ৯ জন ব্যক্তি এবং ৭টি এনটিটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি।

স্পেশাল ইকোনমিক মেজারস অ্যাক্টের অধীনে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মেলানি জোলি বলেছেন, কানাডা বেলারুশের জনগণের সাথে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জন্য কোনো দায়মুক্তি হতে পারে না এবং রাশিয়ান নেতৃত্বের নির্লজ্জ কর্মকাণ্ডের জন্য বেলারুশের শাসকদের সমর্থন বাদ যাবে না। আমরা সম্মিলিতভাবে এই জঘন্য এবং অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডের জবাব দিতে আমাদের মিত্রদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তারা টার্গেটেড। তারা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা অব্যাহতভাবে লঙ্ঘনে রাশিয়ার সঙ্গে আছে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন সরকারি কর্মকর্তারা, বিচারকরা, শাসকগোষ্ঠীর সহযোগীরা- এর মধ্যে আছে বেলারুশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রধান ইভান মিখাইলোভিচ আইসমান্ত। এ ছাড়া এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্যরা, সামরিক কারখানা ও প্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানি।  

মেলানি জোলি জানান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র , যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ডের মতো সমমনা অংশীদার এবং মিত্রদের সঙ্গে সমান্তরালভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে কানাডা।  

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনে সমর্থন দেওয়া অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে লুকাশেঙ্কোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে জানা গেছে বেলারুশের বিরুদ্ধে দেওয়া নিউজিল্যান্ডের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে দেশটির মোট নয় কর্মকর্তা এবং সংস্থা। এরমধ্যে পাঁচ জন সামরিক কর্মকর্তা, দু’টি আর্থিক সংস্থা এবং দু’টি রাষ্ট্রায়াত্ত কোম্পানি।  

এই ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলো ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে সমর্থন করেছে বলে জানান নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা।

নানাইয়া বলেন, নিষেধাজ্ঞাভুক্তরা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে নানাভাবে সাহায্য করেছে। বেলারুশের ভূমি থেকে ইউক্রেনে অভিযান চালাতে রুশদের সহায়তা করেছে তারা। তারা রাশিয়ার পরমাণু বোমা নিজের ভূখণ্ডে মোতায়েন করেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা,আগস্ট ১০, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।