আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কঙ্গোতে গত সাত মাসে ৩১ হাজার ৩৪২ জন কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে ২৩০ জন মারা গেছে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দেশটি নিয়ে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইউনিসেফ বলছে, কলেরায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশটির উত্তর প্রদেশের কিভু। সেখানে ২১ হাজার ৪০০ মানুষেরও বেশি এ রোগে আক্রান্ত। তার মধ্যে ৫ বছরের কম বয়সী শিশু রয়েছে ৮ হাজারের বেশি।
ইউনিসেফ কর্মকর্তা শামেজা আবদুল্লাহ বলেন, কলেরার প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশটির মানুষ মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েছে। পরের মাসের মধ্যে যদি জরুরি পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে এ রোগটি দেশের এমন কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। ওইসব অঞ্চল বহু বছর ধরে আক্রান্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, যে পরিস্থিতি দেশটিতে বিরাজ করছে তাতে রোগটি ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা অসুস্থ হয়ে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে পারে।
২০১৭ সালে রাজধানী কিনশাসাসহ কঙ্গো জুড়ে কলেরা ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ১১০০ জনেরও বেশি মৃত্যু হয়।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল বলেছে, তারা কলেরা প্রতিরোধে কার্যক্রম বাড়াতে ৬২.৫ মিলিয়ন ডলার চেয়েছে। যা আগামী ৫ মাসে পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি সমস্যায় খরচ করা হবে। যা দিয়ে নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যবিধি কিট, ল্যাট্রিন, চিকিৎসা সরবরাহ এবং শিশুবান্ধব কলেরাযত্নসহ ১৮ লাখ মানুষের সেবা সম্ভব। তার মধ্যে মধ্যে ১০ লাখ শিশু রয়েছে। এমন চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র ৯ শতাংশ অর্থায়ন করা হয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
জেএইচ