চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আরো বেশি ন্যায়সঙ্গত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য উদীয়মান অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসকে সম্প্রসারণের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, চীনের ডিএনএতে আধিপত্যবাদ নেই
মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে শি বলেন, চীন শক্তি প্রতিযোগিতায় জড়াতে বা আন্তর্জাতিক জোটগত দ্বন্দ্ব তৈরি করতে চায় না।
একটি ব্যবসায়িক ফোরামের আলোচনায় বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাওর মন্তব্যের প্রক্ষিতে শি বলেন, চীন ইতিহাসের সঠিক স্থানে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে এবং বিশ্বাস করে যে সর্বজনীন মঙ্গলের জন্যই ন্যায়সঙ্গত নীতি অনুসরণ করা উচিত।
আজ মানব সমাজ এমন একটি জটিল সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছ যেখানে ইতিহাসের পরিবর্তনগুলি এমনভাবে সামনে আসছে যা আগে কখনই হয়নি।
শি এর আগে শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক রামাফোসার সাথে দেখা করেছিলেন, এবং বলেছিলেন ব্রিকস এর দেশগুলো নতুন ঐতিহাসিক সূচনা দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক পার্শ্ব বৈঠকে শি জিনপিং অংশগ্রহণ করেননি, তবে কেন করেননি তা স্পষ্ট নয়।
চীন এবং রাশিয়া, উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রেয়েছে, যার কারণে তারা আন্তর্জাতিক বিষয়গুলিতে পশ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্রিকস সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী। তবে ব্রাজিল এবং ভারত ব্রিকসের ব্যাপক সম্প্রসারণে বিষয়ে এখনও দ্বিধাবিভক্ত। খবর আল জাজিরা।
সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ এবং মিশর ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বর্তমানে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে এই জোট গঠিত। যা বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্ব করে এবং বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ২৫ শতাংশ।
ভ্লাদিমির পুতিন এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দিলেও এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, জোটের অর্থনৈতিক প্রয়োজনেই ডি-ডলারাইজেশন গতি পাচ্ছে এবং তা অনিবার্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
এমএম