ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

প্রিগোজিনকে বহনকারী প্লেনের ‘ব্ল্যাক বক্স’ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৩
প্রিগোজিনকে বহনকারী প্লেনের ‘ব্ল্যাক বক্স’ উদ্ধার

রাশিয়ার সশস্ত্র ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে বহনকারী প্লেনটির ব্ল্যাক বক্স (ফ্লাইট রেকর্ডার) উদ্ধার করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত প্লেনটির ধ্বংসাবশেষ থেকে ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে নিহত ১০ জনের মরদেহও উদ্ধার হয়েছে।

ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হওয়ায় প্লেনটি দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে। নিহতদের দেহের মোলেকিউলার জেনেটিক টেস্টও করা হচ্ছে। এতে করে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এদিকে, সশস্ত্র ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের যোদ্ধাদের রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করতে নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

দ্যা গার্ডিয়ান বলছে, কোনো বিলম্ব না করে দ্রুত রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে ওয়াগনার যোদ্ধাদের হলফনামায় স্বাক্ষর করতে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। এ ব্যাপারে ডিক্রিও জারি করেছেন তিনি।

ওয়াগনার বাহিনীর হাজার হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা ও অন্যান্য সামরিক গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণে নিতেই পুতিন এ আদেশ দিয়েছেন।

ক্রেমলিনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গতকাল শুক্রবার (২৬ আগস্ট) এ ব্যাপারে ডিক্রি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানে যারা সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ বা সহায়তা করছে, তাদের বাধ্যতামূলক রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে হলফনামায় সই করতে হবে।

ওয়াগনার যোদ্ধারা রুশ সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের ‘আদেশ মানতে বাধ্য’ বলেও ডিক্রিতে উল্লেখ করা হয়।

গত বুধবার (২৩ আগস্ট) রাশিয়ায় একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ১০ আরোহী নিহত হন। দাবি করা হচ্ছে উড়োজাহাজটিতে ইয়েভজেনি প্রিগোজিন ছিলেন। কেননা, ১০ আরোহীর তালিকায় প্রিগোজিনের নাম রয়েছে। এ ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) প্রিগোজিনসহ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান পুতিন।

এদিকে, ইউক্রেনসহ অনেক পশ্চিমা কর্মকর্তারা মনে করছেন রুশ প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই ওই উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করা হয়েছে। গত জুনে রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের উৎখাত করতে প্রিগোজিনের নেতৃত্বে ওয়াগনার বাহিনী যে বিদ্রোহ করেছিল তার বদলা নিতেই এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলেও দাবি রয়েছে। প্রিগোজিনকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়; এবং পুতিন এ ধরনের মানুষদের ক্ষমা করেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।