ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

৩২ শতাংশ ফরাসি প্রতিদিন তিনবেলা খেতে পায় না: গবেষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
৩২ শতাংশ ফরাসি প্রতিদিন তিনবেলা খেতে পায় না: গবেষণা

৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি নতুন সমীক্ষা অনুসারে ফ্রান্সে বসবাসকারী এক তৃতীয়াংশেরও বেশি লোক দিনে তিন বেলা খাওয়ার সামর্থ্য রাখে না। অভাবের কারণে খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যয়ের মতো প্রয়োজনীয় খরচও কমাতে বাধ্য হন তারা।

 

ফরাসি সংস্থা সেকোরস পপুলায়ার (পিপলস রিলিফ) এর পক্ষে বহুজাতিক বাজার গবেষণা এবং পরামর্শক সংস্থা ইপসোস এর পরিচালিত এক সমীক্ষায় এই তথ্য ওঠে এসেছে।

প্রভার্টি ব্যারোমিটার বলেছে, ফ্রান্সে বেশিরভাগ লোক, সংখ্যার দিক থেকে বললে প্রায় ৭২ শতাংশ; খাবারের খরচ কমাতে মাংস খাওয়া সীমিত করে ফেলে।

ইপসোস ১৭ এবং ১৮ জুন এই গবেষণা কাজে ৯৯৬ জন ফরাসি নাগরিকের টেলিফোন সাক্ষাত্কার নিয়েছে যাদের বয়স ১৬ বছর বা তার বেশি।  

জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪৩ শতাংশ বলেছেন তারা আর প্রতিদিন ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার সামর্থ্য রাখেন না। সমীক্ষা অনুসারে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং উচ্চ মূল্য পূর্বের চেয়ে আরও বেশি ফরাসিদের দারিদ্র্যসীমার নিচে নিমজ্জিত করছে।

মোট ৫৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন এখন তারা আর টাকা জমাতে পারেন না এবং ১৮ শতাংশ বলেছেন তাদের ব্যাংকদেনা আগের বছরের তুলনায় তিন শতাংশ বড়েছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারী করা মোট ৪৫ শতাংশ ফরাসি জনগণ বলেছেন তারা তাদের সম্পূর্ণ চিকিৎসা ব্যয়ের দিতে অক্ষম, এই সংখ্যাটি গত বছরের চেয়ে ছয় শতাংশ বেশি।

ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং উচ্চ মূল্য ফ্রান্সের রাজনীতিবিদ এবং জনসাধারণকে উদ্বিগ্ন করে চলেছে ৷ দেশটির অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মায়ার বারবার খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর কাছে দাম কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।

গত সপ্তাহে খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনার পরে, লে মায়ার ঘোষণা করেছে ৫ হাজার পণ্যের খাদ্যের দাম বেঁধে দেয়া করা হবে।

লে মায়ার বিদেশি খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর প্রকাশ্য সমালোচনা করেন, কারণ তিনি মনে করেন সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এই কোম্পানিগুলো যথেষ্ট সহযোগিতা করছে না। সূত্র ডেইলি সাবাহ।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৩
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।