দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন প্রসারিত হওয়ায় বিশ্ব সংঘাতের ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) জি২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আগে এক সতর্কবার্তায় তিনি এ কথা জানান।
নয়াদিল্লিতে গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি আমরা সত্যিই একটি বৈশ্বিক পরিবার হয়ে থাকি, তাহলে আমরা আজকে বরং একটি অকার্যকর পরিবারের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। বিভাজন বাড়ছে, উত্তেজনা বাড়ছে এবং আস্থা ক্ষয় হচ্ছে, যা একসঙ্গে বিভক্ত হওয়া এবং শেষ পর্যন্ত দ্বন্দ্বের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে। ’
২০টি প্রধান অর্থনীতির এ গোষ্ঠী বর্তমানে ১৯টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত, যা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ এবং বিশ্বের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ।
তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং কিভাবে উদীয়মান দেশগুলকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে গভীর মতবিরোধ নয়াদিল্লিতে দুই দিনের বৈঠকে চুক্তিগুলোকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গুতেরেস বলেছেন, ‘এই ভাঙন সবচেয়ে অনুকূল পরিস্থিতিতে গভীরভাবে উদ্বেগজনক হবে। আমাদের সময়ে এটি বিপর্যয় সৃষ্টি করে। বিশ্ব পরিবর্তনের একটি কঠিন মুহূর্তের মধ্যে রয়েছে।
ভবিষ্যত বহুমুখী, কিন্তু আমাদের বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অতীতের যুগকে প্রতিফলিত করে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক স্থাপত্য পুরনো, অকার্যকর এবং অন্যায্য। এর জন্য প্রয়োজন গভীর, কাঠামোগত সংস্কার। একই কথা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ক্ষেত্রেও বলা যেতে পারে। ’
চীনের শি চিনপিং যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে বর্ধিত বাণিজ্য ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সময়ে জি২০ বৈঠকে অনুপস্থিত থাকবেন। চীন ও ভারতের মধ্যে একটি দীর্ঘ ও বিতর্কিত সীমান্ত রয়েছে। অন্যদিকে কূটনৈতিক অত্যাচার ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগও রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিনকে সম্মেলন থেকে দূরে রাখছে। যদিও মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণের আন্তর্জাতিক নিন্দাকে জলাঞ্জলি দিতে মিত্রদের চাপ অব্যাহত রেখেছে।
সূত্র: এএফপি
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৩
এএটি